ঢাকা: কোটা সংস্কার নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নিলে হামলা-অগ্নিসংযোগে সেতু বিভাগের ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার বনানীর সেতু ভবনে হামলাকারীরা অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয় ৫৫টি গাড়ি।
আর এই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সেতুভবনের প্রথমতলা থেকে তৃতীয়তলা পুরো পুড়ে গেছে। এই তলায় থাকা ফাইলও পুড়ে গেছে। অন্যদিকে চতুর্থ ও পঞ্চমতলা পুড়ে গেলেও ফাইল রক্ষা করতে পেরেছেন দায়িত্বরত কর্মীরা। আর পুরো ১৪তলা ভবনই অগ্নিসংযোগে ছাইয়ের স্তূপে পরিণত হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে সেতু বিভাগ প্রধান কার্যালয় পুনরায় চালু হলেও ভবনটির নিচের ফাঁকা জায়গায় তাবু টানিয়ে অফিস করছেন সেতু সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সেতু সচিব মনজুর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সেতু ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটি, বিআরটি প্রজেক্টে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় একটি এবং এক্সপ্রেসওয়ে’র দুই টোলপ্লাজা ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস বলেন, সব মিলিয়ে এই অগ্নিকাণ্ডে সেতু বিভাগের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকার হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এনবি/এসএএইচ