ঢাকা: বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, বলেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেছেন, এ সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নাই।
শুক্রবার (২ আগস্ট) ‘গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ’ চেয়ে আয়োজিত দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা সহিংসতা চালাতে চায়, তাদের বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। সরকার এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠী চক্রান্তের চেষ্টা করছে। সাবধান থাকতে হবে। দেশের তিন বছরের বাচ্চা থেকে শ্রমজীবী-পেশাজীবী সবার ওপর আক্রমণ আসছে। জমিন থেকে-আকাশ থেকে আক্রমণ আসছে। গুলিতে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মা-বাবারা হাহাকার করছেন। হাজার হাজার আহত হয়েছেন, তাদের মা-বাবারা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।
আনু মোহাম্মদ বলেন, ৫২ সালের পর থেকে অনেক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনে এরকম হত্যাযজ্ঞ কেউ করেনি, এতো রক্তপাত কেউ করেনি। সরকার ভেবেছিল এরকম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালালে আন্দোলন দমে যাবে। কিন্তু প্রতিবাদ আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশে শিক্ষক, অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্ত বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে। এ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মুক্তিযুদ্ধকে এ দখলদারের কাছ থেকে রক্ষা করতে হবে।
পরে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হওয়া দ্রোহযাত্রা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসে। বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে শিক্ষার্থী-জনতার দ্রোহযাত্রা। বিকেল পৌনে ৪টায় মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে পৌঁছায়। এরপর থেকে ভেঙে ভেঙে অনেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে আসতে থাকেন। শিক্ষার্থী, সাধারণ জনতার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে শহীদ মিনার জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৪
এসসি/এমএমআই/আরএইচ