ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ছাগলে ধান খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে।  

নিহত হামিদা ওই গ্রামের ইস্রাফিল মোল্যার মেয়ে ও সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের হাসিবুল সরদারের স্ত্রী।

 

বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।  

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের দরিহরিহরনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ছোট বোন অন্তরা বলেন, আমার ছোট বোন মহিমা সোমবার বিকেলে মাঠ থেকে ছাগল আনতে যায়। এসময় শাহাদত চাচার ছাগল পাশের একটি জমিতে ধান খাচ্ছিল। তখন ছোট বোন শাহাদতের স্ত্রী ভানু বেগমকে দেখিয়ে বলছিল চাচি ধান খায় আপনাদের ছাগল, আর দোষ হয় আমাদের ছাগলের। একথা বলার পরে চাচি ছোট বোনকে ছাগলের খুঁটো উঠিয়ে মারে। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় চাচা ও চাচি লোকজন এনে পরিবারের সবার ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের গুরুতর আহত করে এবং আমার বোন হামিদাকে ঘর থেকে টেনে লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় আমার বোনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করলে মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

নিহতের মা রিজিয়া বেগম বলেন, আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে চোখের সামনে মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাহাদত মোল্যা (৫৫), তার স্ত্রী ভানু বেগম, ছেলে উজ্জ্বল (৩০), একই গ্রামের মকসেদের ছেলে ইউনুস (৪৯), তায়েব মোল্যা (৫০), তার স্ত্রী আনজিরা (৩৯), চাঁন মিয়া (৫৬), তার স্ত্রী জুলেখা, ইউনূসের স্ত্রী রুবিয়া বেগম, ছেলে লাদেন মোল্যাসহ (২২) ৫-৬ জন দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।  

নিহতের স্বামী হাসিবুল সরদার বলেন, আমার স্ত্রী ও ৮ মাসের ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ওর চাচারা আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এখন ৮ মাসের বাচ্চাকে মা ছাড়া আমি কেমনে বাঁচাবো। স্ত্রীকে হত্যার জন্য থানায় মামলা করা হবে। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি যারা আমার স্ত্রীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরেছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। তবে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা গেছেন। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।