ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে নার্সিং কলেজের ইনচার্জ অবরুদ্ধ, পদত্যাগ দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
ফরিদপুরে নার্সিং কলেজের ইনচার্জ অবরুদ্ধ, পদত্যাগ দাবি

ফরিদপুর: অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবিতে ফরিদপুরের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর থেকে কলেজটির ইনচার্জের নিজ কক্ষেই তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

 

এ সময় তার (ইনচার্জ) সময়কার দুর্নীতি ও অনিয়মের সব টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি রোকেয়ার পদত্যাগ দাবি করা হয়। একই সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগে কলেজটির প্রধান সহকারী উজ্জ্বল শেখেরও পদত্যাগ দাবি করা হয়।  

অন্যদিকে, কলেজটির পিয়ন নুরুল হক নূর ও গাড়িচালক কাজী পিনুকে অনতিবিলম্বে অন্যত বদলি করার দাবি তোলেন ওই শিক্ষার্থীরা।  

পাশেই শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগানে কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এ সময় ইনচার্জকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

কলেজটির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানা একজন দুর্নীতিবাজ লোক। তিনি কলেজটির ভর্তির রশিদ বাণিজ্য, ধর্মীয় উৎসবের নাম ভাঙিয়ে ও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া, শিক্ষার্থীদের ড্রেস (পোশাক) কেনার টাকার নয়ছয়, বিভিন্ন অজুহাতে নানা উপায়ে শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ, কলেজটিতে মেডিকেল বোর্ড ফি’র নামে ৮শ থেকে ১২শ টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। আর এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের সহযোগিতা করেছেন কলেজটির প্রধান সহকারী উজ্জ্বল শেখ, পিয়ন নুরুল হক নূর ও গাড়িচালক কাজী পিনু।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কলেজটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুমান মিয়া বলেন, ‘কলেজটির ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানা এ কলেজের বিভিন্ন ফান্ডের ২৩ লাখ টাকা নয়ছয় করেছেন। এছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমরা তার পদত্যাগ চাই। সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ইনচার্জ চাই এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ’ 

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও কলেজটির শিক্ষার্থী অনন্যা মিতু বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি এই দুর্নীতিবাজ ইনচার্জের পদত্যাগ চাই। সঙ্গে দুর্নীতির সব টাকা ফেরত চাই।  উনি পদত্যাগ না করলে ও সব দুর্নীতির টাকা ফেরত না দিলে উনাকে ছাড়া হবে না। ’

এসব অভিযোগের ব্যাপারে কলেজটির ইনচার্জ রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা কিছু অভিযোগ সঠিক হলেও সব অভিযোগ ঠিক না। আমি কলেজের আর্থিক সংক্রান্ত অনেক কিছুই জানতাম না। সেগুলো কলেজের প্রধান সহকারী, পিয়ন ও গাড়িচালক করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।