ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, লক্ষ্মীপুরে মৎস্য খাতে ক্ষতি প্রায় ৮০ কোটি টাকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, লক্ষ্মীপুরে মৎস্য খাতে ক্ষতি প্রায় ৮০ কোটি টাকার

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ভেসে গেছে। এতে পুকুরের সব মাছ বের হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য চাষিরা।

এ কয়েকদিনেই জেলাব্যাপী মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে মৎস্যবিভাগ৷

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, জেলাতে প্রায় ৫৪ হাজার পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ হাজার পুকুরের ৯০ শতাংশ ভেসে মাছ বের হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর মাছ চাষের জলাশয়।

এতে মৎস্য চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন৷ যার পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার মতো হতে পারে।

মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, যেভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, এতে আরও পুকুর ভেসে যেতে পারে। তাই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

সরেজমিন ঘুরে এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৎস্য চাষিদের পুকুর ডুবে যাওয়ায় চাষের মাছ বের হয় গেছে। মাছগুলো খাল-বিলে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জাল বা বিভিন্ন ফাঁদের সাহায্যে মাছ শিকার করছেন।

রামগঞ্জ উপজেলা পশ্চিম বিঘার মৎস্য চাষি শাহাদাত হোসেন, সৈয়দ মাসুদ, ইউসুফ, শামীমসহ কয়েকজন জানান, তাদের এলাকায় প্রায় তিনশ পুকুর, মাছের ঘের, জলাশয় ভেসে কোটি টাকার মাছ বের হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

একই উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক মাহমুদ ফারুক জানান, টানা বর্ষণে শত শত পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে গেছে। পুকুরে থাকা বড় এবং মাঝারি আকৃতির রুই, কাতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উপজেলার হাজীগঞ্জ বিরেন্দ্র খালে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্য চাষিরা।

সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মৎস্য চাষি নুরুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, তার তিনটি পুকুর ভেসে গেছে। এতে বেশিরভাগ মাছ বের হয়ে যায়। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন তিনি।

মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেন জানান, তাদের এলাকার সবগুলো পুকুর ভেসে গেছে। পুকুরের মাছগুলো আশপাশের জলাশয় এবং খাল-বিলে ছড়িয়ে পড়ছে। চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হলেও মৎস্য শিকারীরা বিভিন্ন উপায়ে মাছ শিকার করছেন।

সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের তালিকা তৈরি করে আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আপাতত প্রণোদনার কোনো প্রকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।