লক্ষ্মীপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী মো. সাব্বিরের মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে।
দাফনের এক মাস পর আদালতের নির্দেশে বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে তার মৃতদেহ উঠিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মৃতদেহ তোলার সময় নিহত সাব্বিরের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে লক্ষ্মীপুর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সাব্বির। জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে তাদের বাসভবন থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছোড়া হয়। এদিন সাব্বির ছাড়াও আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গুলিবিদ্ধ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক লোকজন।
পরদিন ৫ আগস্ট ময়নাতদন্ত ছাড়াই লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশে অবস্থিত মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদের কবরস্থানে সাব্বিরের মৃতদেহ দাফন করেন স্বজনেরা। এটি তার নানার বাড়ি।
সাব্বির সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন সাব্বির।
এ ঘটনায় তার বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করে ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তের স্বার্থে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতের বিচারক আবু নোমান কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্ত করার আদেশ দেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার এসআই মোবারক হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মৃতদেহ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আবার দাফন করা হবে।
এদিকে ওইদিন একই স্থানে নিহত হন জেলার রায়পুর উপজেলার বাসিন্দা মো. ওসমান গণি। তার মৃতদেহ গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত শেষে আবার দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪
এসআই