ঢাকা, বুধবার, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সব ধর্মমতের সহাবস্থান চাইলেন জাগ্রত জনশক্তির বক্তারা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
সব ধর্মমতের সহাবস্থান চাইলেন জাগ্রত জনশক্তির বক্তারা

ঢাকা: মাজার ও মন্দির ভাঙার প্রতিবাদে রাজধানী শাহবাগ জাদুঘরের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাগ্রত জনশক্তির আয়োজনে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

মানববন্ধনে বক্তারা সব ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  

জাগ্রত জনশক্তির আহ্বায়ক সুদীপ্ত সাইদ খান তার বক্তব্যে বলেন, দেশের কিছু মানুষ ধর্মের নামে দেশকে উশৃংখল করার চেষ্টা করছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে ভিন্নমত দমন করার চেষ্টা করছে। এসব সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামের নানা রূপ ও মতাদর্শ আছে। সব মতাদর্শের সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য ‘সেকুলার ইসলাম’ বা ‘ইসলামি নিরপেক্ষতাবাদ’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও পরমতসহিষ্ণু মতাদর্শের প্রচার করতে হবে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রকে সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সাংবাদিক মাকসুদুল হক ইমু বলেন, বর্তমানে যারা সহিংসতা করছে তাদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। সাথে যারা হিন্দুদের উপাসনালয় মন্দিরে হামলা চালিয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সুযোগ সন্ধানীরাও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

চলচ্চিত্রকর্মী সিএফ জামান বলেন, এই মাজার এবং মন্দির এদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি। এদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সেই শুরু থেকেই বসবাস করছে, আর এই পীর ও আউলিয়াদের মাধ্যমেই এদেশে ইসলাম প্রচার হয়েছে। এসব স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতির ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা সব ধর্মের সহাবস্থানে বিশ্বাস করি এবং এহেন গর্হিত হামলার নিন্দা জানাই।

চলচ্চিত্রকর্মী জহির দিপু বলেন, যারা মাজারে হামলা করেছে তারা দুষ্কৃতকারী। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং একইসঙ্গে যারা হামলায় উসকানি দিয়েছে সেই পেছনের মাস্টারমাইন্ডকেও খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই সময়ে নাগরিকের গুণগত পরিবর্তন ছাড়া রাষ্ট্রের পরিবর্তন সম্ভব নয়।

সুলতানশি দরবার শরীফের পীরজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ আবু খায়ের বলেন, আমরা যারা সুফিবাদে বিশ্বাস করি তারা শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমরা সব ধর্মমতের সহাবস্থানে বিশ্বাস করি। কারও প্রতি প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড পছন্দ করি না। আজকের ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিলাদুন্নবীর মিছিলে হামলাসহ যারা ধর্মের নামে সহিংসতা ছড়াচ্ছে তাদের শাস্তি দাবি করছি।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মাহমুদ দিদার, সাংবাদিক ইসমাইল সিরাজী, অভিনেতা অরণ্য বিজয়, লেখক তানভীর আহমেদ সৃজনসহ আরও অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।