মাগুরা: টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ। শহরের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
গত তিনদিনের টানা বৃষ্টির ফলে শহরের কলেজ পাড়া, স্টেডিয়াম পাড়া, পারনান্দুয়ালী, নিজনান্দুয়ালী,কাউন্সিল অফিস পাড়ায় সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতাদেখা গিয়েছে। এই এলাকার মানুষরা এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে।
কলেজপাড়া এলাকার গৃহিণী রেহানা খাতুন বলেন, আমাদের ঘরের মধ্যে পানি উঠে গেছে। এ অবস্থায়আমরা খুবই সমস্যায় আছি। বাইরে বের হওয়া যেমন বন্ধ তেমনি ঘরের মধ্যে বাস করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকার হাসিবুল আলম বলেন, আমাদের বাড়ির উঠানে প্রায় হাঁটু পানি। এরকম অবস্থা আগে কখনো দেখিনি। আজ বন্ধের দিন তাই বাড়িতে কাটাচ্ছি। স্কুল, কলেজ খোলা থাকলে আজ যাওয়া সম্ভব ছিল না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের অধিকাংশ পাড়াতে পানি ঢুকে গেছে। বিশেষ করে স্কুলগুলোরমাঠ পানিতে ভরে গেছে। মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এর মাঠে হাঁটু পানি জমে গেছে।
মাগুরা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা সাংস্কৃতিক সংগঠক মাহমুদ ফজল বলেন, এই সমস্যা থেকে কবে মুক্তিপাব আমরা জানি না। এই জলাবদ্ধতা দূর হতে কয়েকদিন লেগে যাবে। বিশেষ করে কলেজপাড়ায় একটু বৃষ্টি হলেই বড় ধরনের জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। পরিকল্পিত ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় ধীরে ধীরে মাগুরা শহরে সব এলাকাগুলোতেই এখন জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।
মাগুরা পৌরসভার প্রকৌশলী আহসান বারী বলেন,কলেজপাড়া একটু নিচু এলাকা। একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে কিন্তু আবার সরেও যায়। তবে শহরের ড্রেনেজ সিস্টেম যথেষ্ট নয়। সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য পৌরসভা অনেকদিন ধরেই কাজ করছে। ইতোমধ্যেই একটি বড়ো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শহরবাসী এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা রাখি।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, আমি মাগুরায় মাত্রই যোগদান করেছি। আসার পর থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমার নিজ কার্যালয় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনের ভালো কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির্ পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষ। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
আরএ