ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় কাগদী ব্রিজের বেহাল দশা, ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
সালথায় কাগদী ব্রিজের বেহাল দশা, ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদী বাজারের প্রবেশ মুখে খালের ওপর নির্মিত সেতুর পাটাতন ভেঙে দেবে রয়েছে। বিভিন্নস্থানে বেড়িয়ে গেছে রড।

জরাজীর্ণ সেতুটি দুপাশের রেলিংও ভাঙা। পিলার-পাটাতনের পলেস্তারা উঠে গেছে। সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ে ফাঁকা হয়ে যাওয়া অংশে এক টুকরো কাঠ বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন অন্তত ১০টি গ্রামের হাজারও মানুষ।  

দুই দশক আগে নির্মাণ করা সেতুটি প্রায় এক যুগ ধরে সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মধ্যে সব চেয়ে বড় হাট কাগদী বাজার। প্রতি সপ্তাহে দুদিন এখানে হাট বসে। হাটের দিন আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামের হাজারও মানুষের মিলনমেলা ঘটে এই বাজারে। বাজারের পাশেই রয়েছে কাগদী উচ্চ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় বাজারের প্রবেশ মুখে খালের ওপর অন্তত ৫০ বছর আগে ৬০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফিট প্রস্থের এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। যদিও সেতুটি ছোট হওয়ায় নির্মাণের পর থেকে সেতুটির ওপর দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। তবে ভ্যান ও অটোরিকশা চলাচল করত।  

কাগদী বাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল মাতুব্বর বলেন, সেতুটি প্রায় এক যুগ ধরে জরাজীর্ণ হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় বাড়ি থেকে বাজারে ভ্যানযোগে চলাচল তো দূরের কথা, সেতুটি হেঁটে পারাপার হতেও ভয় লাগে। কিন্তু বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে মানুষ। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সব চেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও কৃষকরা। শিক্ষার্থীরা সেতুটি পার হওয়ার সময় কাঁপতে থাকে। আর কৃষকরা যানবাহনে করে কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। কৃষকরা তাদের কৃষিপণ্য মাথায় করে এনে বাজারজাত করেন।

সুমন ইসলাম নামে স্থানীয় এক শিক্ষার্থী বলেন, একদম ছোট বেলা থেকে সেতুটি এমনভাবে পড়ে থাকতে দেখছি। আমরা নিয়মিতই আতঙ্ক-ভয় নিয়ে সেতুটি পার হই। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীরাতো একা এই সেতু পারই হয় না। অভিভাবকরা তাদের কোলে করে স্কুলে আনা-নেওয়া করেন। এ পরিস্থিতিতে সেতুটি অপসারণ করে নতুন একটি বড় ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানাই। যদি একটি বড় ব্রিজ ওখানে নির্মিত হয়, তাহলে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

সালথা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, সেতুটির মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ওখানে নতুন সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রস্তাবটি পাস হলে যত দ্রুত সম্ভব, সেতুটি নির্মাণ করা হবে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।