রাজবাড়ী: রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় দলীয় ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু এবং বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে সাতজন কর্মী আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাজবাড়ী জেলা শহরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থাপিত আর্মি ক্যাম্প থেকে ক্যাপ্টেন মো. এনামুল হাসানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ও বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় যৌথবাহিনী ঘটনায় জড়িত খোন্দকার মশিউল আলম চুন্নুসহ বিএনপির তিন কর্মীকে আটক করে।
আটকদের মধ্যে দুইজন সংঘর্ষে আহত হওয়ায় তাদের বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারা থানা হেফাজতে রয়েছে।
যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, মশিউল আলম চুন্নু সংঘর্ষে আহত হয়ে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে গেলে তাকে চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী তাকে আটক করে। এ সময় তিনি নিজেকে ভিন্ন নামে পরিচয় দেয়। কিন্তু যৌথবাহিনী তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথবাহিনীর টহল ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চলমান রয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যৌথবাহিনী অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজবাড়ী-২ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুল হক সাবু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
আরএ