পিরোজপুর: পিরোজপুরের সাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদক মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মালেকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
অভিযুক্ত পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি একেএমএ আউয়ালের মেজো ভাই। এমপি আউয়াল ৩টি এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীন পৃথক একটি মামলার আসামি। ওই মামলায় গত ২০২০ সালের ৩ মার্চ আউয়াল সস্ত্রীক জামিন আবেদন করলে আদালত তা বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠান। পরে একই দিন এক ঘণ্টার ব্যবধানে ওই মামলার বিচারককে বদলি করে তাদের পুনরায় জামিন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এর আগে গত ২০২১ সালের ১৮ মার্চ পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকসহ তার স্ত্রী নিলা রহমানের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগে একটি এবং পৌরসভার ১৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২৮ জনের নামে অন্য মামলাটি করা হয়। বরিশালের দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আলী আকবর মামলা দুটি করেন। এতে ৩৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৯৩২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, দুদকের ওই মামলায় গত ৩১ মে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের আবেদন করেন এবং সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করে নুরুল হুদাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দুদকের দাখিল হওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১০ সালে পৌরসভার ১৬ জন কর্মচারী নিয়োগে মোট ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পেশ করা হয়। এর আগে ২০০৬ সালের ৪ মে দেওয়া ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত পত্রিকার মূল কপিতে ছিল না। অভিযুক্ত চক্রটি নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে কৌশল করে বিজ্ঞপ্তিটি চাপা রাখতে বিজ্ঞপ্তির অংশের পৃষ্ঠাটি নতুন করে ছাপান।
এ বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ফোন ও ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায় নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
আরএ