ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টিকটক বানানোর কথা বলে কিশোরকে হাত-পা বেঁধে হত্যা, আটক ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
টিকটক বানানোর কথা বলে কিশোরকে হাত-পা বেঁধে হত্যা, আটক ২

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কবিরহাটে টিকটক বানানোর কথা বলে ইয়াসিন আরাফাত (১৫) নামে এক কিশোরের মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে দীঘির পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দিঘী থেকে নিহত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দিকে তাকে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দীঘিতে ফেলে হত্যা করা হয়।    

নিহত আরাফাত উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের ছোবু ভুঁইঞা বাড়ির মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছেলে।

আটকরা হলো- উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন জিহাদ (১৫) ও কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অজি উল্যার ছেলে ইব্রাহীম খলিল আকিল (১৭)।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আরাফাতকে কিছু ছেলের সঙ্গে চলাফেরা করতে বারণ করে তার চাচাতো ভাই আমির হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরাফাত তাকে মারধর করে। পরে আমির, আরফাতকে হত্যার কৌশল খুঁজতে থাকে। পরবর্তীতে আরেক বন্ধু আকিলের সঙ্গে পরামর্শ করে আরাফাতকে গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে টিকটিক বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় আমির। এরপর উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বঙ্গের দিঘীর পাড়ে নিয়ে টিকটক বানানোর কথা বলে কৌশলে তার মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে দীঘির পানিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়।  

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ জানান, নিখোঁজের তিন দিন পর এ ঘটনায় নিহত কিশোরের মা শাহানারা আক্তার কবিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ঘটনার ১১দিন পর পুলিশ অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে। একপর্যায়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।