সাভার: মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় কলেজ শিক্ষার্থী মো. ইমন মিয়ার পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র ও তার পরিবার। এর আগে ভুক্তভোগী ইমনের বাবা মো. আতাউর বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত হামলাকারী গাজীপুরের শৈলডুবি গ্রামের কাশিমপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছামাদ মাদবরের ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম শান্ত (৩২)।
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র ইমন মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি আশুলিয়ার গাজীরচট স্কুল ও কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। গাজীপুরের কাশিমপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শৈলডুবি এলাকায় থেকে লেখাপড়া করি। এলাকার যুবসমাজ মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংসের মুখে। তাই বন্ধুরা মিলে মাদক কারবারে বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করছি। এতে করে ক্ষুব্ধ হয়ে শৈলডুবি এলাকার আব্দুল সামাদ মাদবরের ছেলে খাইরুল ইসলাম শান্ত দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আমাকে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ৩০ এপ্রিল ইমনকে কল করে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বলে ডেকে আনে নাদিম (২০) ও মোস্তফা (২২)। তাদের কথামতো মোটরসাইকেল নিয়ে বাসার বাইরে বের হলে সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে কাশিমপুর থানাধীন শৈলডুবির চুল ফ্যাক্টরির উত্তর পাশে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় অভিযুক্তরা কুপিয়ে আমার পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ইমনের বাবা মো. আতাউর দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় সন্ত্রাসীরা আমার ছেলের পায়ের নিচের অংশ কেটে ফেলেছে। এখন তিনি কৃত্রিম পা নিয়ে চলাফেরা করে। তার জীবনটা শুরু থেকেই শেষ হয়ে গেল।
এ ব্যাপারে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও ডিউটি অফিসার জানান, আতাউরের লিখিত অভিযোগের বিষয়টি থানায় গিয়ে খোঁজ নিতে বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
এসএম