ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রেলওয়ের জমি থেকে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
রেলওয়ের জমি থেকে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ শমশেরনগর স্টেশন। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: সিলেট-আখাউড়া রেল রুটের সেকশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন শমশেরনগর। এটি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।

স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ের সীমানায় রয়েছে বিপুল পরিমাণে ভূমি। এগুলোতে চাষাবাদ হচ্ছে কৃষিজাত বিভিন্ন পণ্য। রেলওয়ের এসব ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে খণ্ডাংশ করে বিক্রিও করে বাণিজ্য চলছে। কেউ কেউ দখলে থাকলেও স্টেশন মাস্টারসহ সিন্ডিকেটের কাছে অর্থ দিতে হচ্ছে।  

সম্প্রতি শমশেরনগর রেলস্টেশনে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদের কথা শুনে শুরু হয়েছে অর্থ বাণিজ্য।

শমশেরনগর রেলস্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের ভূমি রয়েছে। এসব ভূমির মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক ও কৃষি ভূমি। স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ বন্দোবস্তু নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বসতবাড়ি স্থাপন করে কলোনি দিয়ে শতশত লোকজন স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। কৃষি বন্দোবস্তু নিয়েও গড়ে তুলেছেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় কিছু সিন্ডিকেট চক্র রেলওয়ের কলোনি বা দখলকৃত ভূমিও খণ্ডাংশ করে বিক্রি করছে। কেউ কেউ ভাড়া দিয়ে লাভবান হচ্ছে। তবে এ কার্যক্রমের সাথে স্টেশন মাস্টারসহ কর্মরত স্থানীয় কিছু সুবিধাভোগীও সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  

সম্প্রতি রেলস্টেশনে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের একটি সংবাদ লোকমুখে প্রচার হয়েছে। এতে সিন্ডিকেটের বাণিজ্যের বিষয়টিও জোরদার হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্টেশনের উত্তরাংশে বসবাসরত আরও দুইজন বাসিন্দা জানান, এখানকার দুই থেকৈ তিনজন লোক ঘরে ঘরে গিয়ে সবাইকে টোকেন দিয়ে বলছে তাদের কাছে টাকা দিলে তারা কুলাউড়া অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসবে। তাতে অভিযানের সময় আর কোনো সমস্যা হবে না। নিরাপত্তার অভাবে তারা কারো নাম বলতে রাজি হয়নি।

বাচ্চু মিয়া নামে বসবাসরত স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, অনেক অভাবী মানুষ বসবাস করছে। তাদের আয় রোজগারও সীমিত। অভাব-অনটনে দিন কাটছে। তাদের পক্ষে টাকা পয়সা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, কে বা কারা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু জানা নেই। দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই এভাবে বসবাস করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
বিবিবি/এএটি           
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।