ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ কার্তিক ১৪৩১, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা: নৌকা মেরামত-জাল বুনে সময় পার করছেন জেলেরা

মো. নিজাম উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা: নৌকা মেরামত-জাল বুনে সময় পার করছেন জেলেরা জাল বুনছেন জেলেরা।

লক্ষ্মীপুর: মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ২২ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ শিকারে নামেনি জেলেরা।

জেলেরা ট্রলার এবং নৌকাগুলো নদীর তীরে নোঙর করে রেখেছেন তারা। এই সময়ে মাছ শিকারের ট্রলার মেরামত এবং জাল বুনে পার করছেন জেলেরা।

তবে নদীতে এবার ইলিশ কম ধরা পড়ায় আয়-রোজগার কম হয়েছে জেলেদের। ফলে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে কীভাবে দিন পার করবেন সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।  

এদিকে মৎস্য বিভাগ থেকে জেলার ৩৯ হাজার ৭৫০টি জেলে পরিবারের জন্য ৯৯৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। যদিও প্রতি পরিবারের জন্য ২৫ কেজি চালকে যথেষ্ট মনে করছেন না জেলেরা। অভিযানে খাদ্য সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকৃত জেলেদের সহায়তার আওতায় আনারও দাবি জেলে পরিবারের।  

অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে নদীতে অভিযান পরিচালনার কথা জানায় মৎস্য বিভাগ। আইন অমান্যকারী জেলেদের জন্য জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।  

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মতিরহাট এলাকার ট্রলার মালিক শাহ আলম বলেন, ট্রলারে ২২ জন মাঝিমাল্লা মাছ শিকারে নিয়োজিত। তারা অভিযান শুরুর আগেই গভীর সমুদ্র থেকে উঠে এসেছে। অবসর সময়ে জেলেরা এখন মাছ শিকারের জাল বুনে নিচ্ছে, অভিযান শেষ হলেই যাতে মাছ শিকারে নামতে পারেন।  

তিনি বলেন, এবার জালে তেমন একটা মাছ ধরা পড়েনি। তাই আয়-রোজগারও কম হয়েছে। কীভাবে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন সংসার চলবে, জেলেরা সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।  

ওই এলাকার জেলে নুর উদ্দিন বলেন, নিষেধাজ্ঞা মেনে নদী থেকে উঠে আসছি। জালগুলো মেরামত করে বাড়ি যাব। তবে এবার অর্থ সংকটে আছি। জালে মাছ ধরা পড়েনি। তাই পকেট এবার ফাঁকা। আমাদের মধ্যে অনেক জেলে আছে, তারা সরকারি চালও পায় না। আবার জেলে নয়, এমন লোকজনও চাল পায়।  

জেলে রহমান বলেন, মাছ ধরা বন্ধ। তাই অবসর সময়ে নৌকা মেরামত করে নিচ্ছি।  

মতিরহাট মাছঘাটের আড়তদার আবদুল খালেক বলেন, জেলে পরিবারের জন্য মাত্র ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা অপ্রতুল। ২৫ কেজি চাল কোনো পরিবারের এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের বেশিদিন যাবে না। জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তায় চালের পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি তার।  

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, সরকার ঘোষিত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ সময় আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।