ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে রাস্তার সরকারি ইট বেচে দিলেন ‘প্রভাবশালী’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
ফরিদপুরে রাস্তার সরকারি ইট বেচে দিলেন ‘প্রভাবশালী’

ফরিদপুর: ফরিদপুর সদরে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি সড়কের ইট বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সেই ইট তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর নজরে এলে ইটগুলো আটকে দিয়ে পুলিশে খবর দেয়।

পরে পুলিশ গিয়ে ইটগুলো জব্দ করে।

স্থানীয়রা জানান, চরের মানুষের জীবনযাত্রায় স্বস্তি ফেরাতে কয়েক বছর আগে ডাঙ্গী চরের গোরস্তান মসজিদ থেকে পালডাঙ্গী পর্যন্ত এইচবিবি (ইটের) সড়ক নির্মাণ করা হয়। কয়েকদিন ধরে সড়ক থেকে ইট তুলে নিয়ে যাচ্ছিল কিছুলোক।

শনিবার দুপুরে ফের ইট তুলে ট্রলারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি নজরে পড়ে এলাকাবাসীর। পরে ইটগুলো আটকে দিয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বিকালে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. আসলাম শেখ জানান, ফরিদপুর নদী বন্দর এলাকার প্রভাবশালী মো. আলম শেখের মদদপুষ্ট মো. হান্নান মাতুব্বর ইটগুলো প্রতি হাজার সাড়ে ছয় হাজার টাকায় স্থানীয় মো. ইউসুফ নামের ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। শনিবার ইট ট্রলারযোগে বন্দরে নিয়ে এলে আমরা সরকারি ইট বুঝতে পেরে আটকে দেন তারা। পরে বিষয়টি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।

ইটের একজন ক্রেতা মো. ইউসুফ জানান, তিনি ইটগুলো প্রতি হাজার সাড়ে ছয় হাজার টাকা দামে হান্নান মাতুব্বরের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। ইটের কিছু টাকা পরিশোধ করলেও সম্পূর্ণ টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারেননি।

যদিও ইট বিক্রেতা হান্নান মাতুব্বর এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টো ইট চুরির সময় বাঁধা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।  

আলম শেখ বলেন, ইট লুটের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে এ ঘটনার সঙ্গে আমাকে পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হচ্ছে।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ইটগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছে। ইট বিক্রেতাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।