খুলনা: খুলনার অপরাধ জগতের সম্রাট খ্যাত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা শিমুল ভূঁইয়া ওরফে ফজল মোহাম্মাদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ সাঈদ ও তানভীর ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফুলতলা উপজেলার মিলন ফকির হত্যা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) খুলনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ‘ছ’ মো. আলতাফ মাহমুদের বিচারালয়ে তাদের হাজির করা হয়। আদালত তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান। এর আগে তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খুলনায় আনা হয়। এ সময় আদালতে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলতলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন এ বছরের ২৪ আগস্ট আদালতে একটি আবেদন করেন। মিলন ফকির হত্যাকাণ্ডে শিমুল ভূঁইয়া ও তার ভাইপো তানভীর ভূঁইয়ার সম্পৃক্ততা আছে বলে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য আদালতে আবেদন করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক নাসির।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিলন ফকির ফুলতলা উপজেলার আলকা পূর্বপাড়া এলাকার মো. ওহাব ফকিরের ছেলে। তিনি ঠিকাদারি ও বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি মাসে মিলন ফকির তার ছেলে ইমনকে ঢাকার উদ্দেশে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে ফজরের নামাজের জন্য স্থানীয় একটি মসজিদে যান। নামাজ শেষে তিনি ব্যায়াম করতে বের হন। ব্যায়াম শেষে তিনি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে নাজমুলের দোকানে নাস্তা করেন। এর কিছু সময় পর আলকা পূর্বপাড় মনিরুজ্জামান মা টেলিকম অ্যান্ড কনফেকশনারি দোকানে বসে হিদিয়া এ এন এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শীতল কান্তি মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এমন সময়ে দুষ্কৃতকারী মিলন ফকিরকে উদ্দেশে করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। গুলি মাথা, বুক ও ডান হাতে বিদ্ধ হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেন। ভৈরব ঘাট ইজারা নেওয়ার সূত্রে হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে বলে উল্লেখ করেন। এর আগে এ মামলায় অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতী এলাকার মো. আব্দুল কাশেম মোল্লার ছেলে ও ফুলতলা উপজেলার তাজপুর এলাকার মৃত আহমেদ আলী মোল্লার ছেলে মো. হাবিব মোল্লা গ্রেপ্তার হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
এমআরএম/আরবি