ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অনলাইনে সনদ সত্যায়নে বছরে সাশ্রয় হবে ৭০০ কোটি টাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
অনলাইনে সনদ সত্যায়নে বছরে সাশ্রয় হবে ৭০০ কোটি টাকা

ঢাকা: বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ও চাকরিপ্রত্যাশী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সব সনদ অনলাইনে সত্যায়ন নিশ্চিত করা গেলে বছরে কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।  

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ইউজিসি অডিটরিয়ামে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত ডিগ্রি নিয়ে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সনদ অনলাইনভিত্তিক অ্যাপোস্টিল প্ল্যাটফর্মে সত্যায়ন শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম।  

ইউজিসির ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, মন্ত্রিসভায় অ্যাপোস্টিল কনভেনশন স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিদেশগামী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন সনদ, দলিল, হলফনামা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১২৭টি দেশে পুনরায় সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। অ্যাপোস্টিল পদ্ধতিতে বছরে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজারের অধিক সার্টিফিকেট অনলাইনে সত্যায়ন করা সম্ভব হবে এবং এতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া, অ্যাপোস্টিল পদ্ধতিতে সার্টিফিকেট সত্যায়ন করা হলে শিক্ষার্থীদের সময় ও শ্রম সাশ্রয় হবে এবং ভোগান্তি কমে আসবে বলে তারা জানান।

কর্মশালায় বক্তারা আরও জানান, অনলাইনে সত্যায়ন করা হলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং সত্যায়নে নকল প্রবণতা ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রোধ করা যাবে। অ্যাপোস্টিল পদ্ধতিতে প্রতিদিন ১০ হাজারের অধিক সনদ সত্যায়ন করা যাবে।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট সত্যায়নে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘অ্যাপোস্টিলমাইগভ’ (apostille.mygov.bd) প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এটুআই এবং ইউজিসি উচ্চশিক্ষা স্তরের সার্টিফিকেট অনলাইনে সত্যায়ন বাস্তবায়ন করবে।  

অনুষ্ঠানে ৪৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আইটি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং, কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. দুর্গা রানী সরকার, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদারসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।