ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১০ মাসেই ধসে গেছে রাস্তা, নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

মামুনুর রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪
১০ মাসেই ধসে গেছে রাস্তা, নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত আরসিসি রাস্তা ১০ মাস না যেতেই ধসে গেছে। এতে হাজারো মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

 

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং স্থানীয় প্রকৌশলীদের যোগসাজশে আরসিসি ঢালাই কাজে নির্ধারিত অনুপাত না মেনে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও পরিমাণে রড কম দেওয়ায় সড়ক ধসে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

গোপালপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, লালপুর পৌরসভার দুটি রাস্তার জন্য স্থানীয় সরকার কোভিড-১৯ রেসপন্স রিকভারি প্রকল্পের আওতায় এক কোটি আট লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে পৌরসভার খালের তীরবর্তী কেশবপুর ব্রিজ থেকে কবরস্থান পর্যন্ত ৭০০ মিটার সড়কে  আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করে মেসার্স একে এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ১৬ আগস্ট রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়, শেষ হয় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তায় সিডিউল অনুযায়ী ঢালাইয়ের মিশ্রণ করা হয়নি। খাঁচা নির্মাণে রডের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও জয়েনিং বা মেচিংবারে রড ব্যবহার করা হয়নি। আবার বেশ কিছু জায়গায় ঢালাইয়ের পাঁচ ইঞ্চির কম থিকনেস দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল ও আল আমিন বলেন, গত ১০ মাসে আগে যেনতেনভাবে রাস্তাটির কাজ শেষ করা হয়। সেই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ে কাজে অনিয়ম করলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখায়নি। ফলে খালে পানি না থাকলেও গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে হঠাৎ করে ধসে পড়ে রাস্তাটি। এতে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছি। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ঠিকাদার আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। খালের মাটি ধসে যাওয়ায় সড়ক ধসে গেছে।  

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তার নিচের মাটি সরে যাওয়ায় রাস্তা ধসে গেছে। রাস্তাটির জয়েন্টে রডের মেচিংবার দেওয়া হয়নি। ডুয়েল বার থাকার কথা ছিল। আইটেমটা মিসটেক হয়েছে।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে প্রকল্প অফিসের প্রকৌশলীরা এসে তদন্ত করে গেছেন। তারা প্রকল্প অফিসে তদন্ত রিপোর্ট দেবেন। এছাড়া আমি তিনজন প্রকৌশলীর সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা পরিদর্শন করে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।