ঢাকা, শনিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় শেষ হলো ১০ দিনব্যাপী খাদ্য ও ফ্যাশন মেলা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৫
পাবনায় শেষ হলো ১০ দিনব্যাপী খাদ্য ও ফ্যাশন মেলা 

পাবনা: অর্ধকোটি টাকার পণ্য বিক্রি ও ষাট লাখ টাকার পণ্য সরবরাহের চুক্তি নিয়ে শেষ হলো পাবনায় নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী খাদ্য ও ফ্যাশন মেলা।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে বছরের শেষ দিনে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক সংগঠন ড্যাব পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদ মোস্তফা নোমান।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা সদর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. রফিকুল হাসান।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মেলার অ্যাডমিন ক্রীয়া সংগঠন মিজানুর রহমান মিজু, মেলার আয়োজক নিপা ইসলাম, আ্যাডমিন দেওয়ান মাহাবুব, লেয়া সরকার প্রমুখ।

চলতি মাসের ২২ ডিসেম্বর থেকে জেলার নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে হাংরি পাবনা নামে ফেসবুক পেজ ৫মবারের মতো এই মেলার আয়োজন করে। জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল (স্বাধীনতা) চত্বরে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে চলে মেলার কার্যক্রম।

করোনা মহামারির সময়ে ঘরবন্দি কর্মহীন বেকার নারীদের পারিবারিক আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে জেলার কিছু উদ্যোমী তরুণ তরুণীদের নিয়ে যাত্রা শুরু হয় হাংরি পাবনার। প্রথম দিকে ক্রেতাদের জন্য শুধু হোমমেড খাবারের আয়োজন থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পরে পোশাকের সমাহার সংযোগ হয়। উদ্যোক্তারা নিজেদের হাতে তৈরি পোশাক, প্রসাধনী ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আসেন ক্রেতাদের জন্য। যাত্রার শুরুতে ১০১ জন ফেসবুক মেম্বার দিয়ে এই প্লাটফর্মের যাত্রা শুরু হয়। সেটি আজ এক লাখের কাছে গিয়ে পৌঁছেছে। নবীন প্রবীণ উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে প্রতিবছরই এই মেলার আয়োজন করে আসছে হাংরি পাবনা।

শীতের পিঠা-পুলি থেকে শুরু করে হাঁসের মাংস, কালাই রুটি ও লুচি আলুর দম, সামুদ্রিক মাছের সমাহার ছিল এবারের মেলাতে।  

এছাড়া মেলাতে ভুনা খিচুড়ি থেকে শুরু করে নানা পদের দুধের পিঠা, তেলে ভাজা ও ভাপা পিঠা বিক্রি হয়েছে মেলাতে। ক্রেতারা একদিকে যেমন মুখরোচক খাবারের স্বাদ গ্রহণ করছে অন্যদিকে হাতে তৈরি দেশি পোশাক কিনেছেন। মেলাতে নারীদের জন্য থ্রি-পিস, শাড়ি, চুড়ি, মালা থেকে শুরু করে সাজসজ্জার প্রতিটি সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। একই সঙ্গে নিজের হাতে তৈরি খেজুরের পাটারি, জবের ছাতু, কুমড়া বড়ি, সরিষার তেল, ঘি, মধুসহ নানা প্রকারের গাছের সমাহার নিয়ে এসেছিলেন উদ্যোক্তারা।

এবারের মেলাতে ৩৫টি স্টলে ৭০ জন নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমী এই খাদ্য ও ফ্যাশন মেলাতে ১৬টি খাদ্যের ও ১৯টি পোশাকের স্টল বসেছিল। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলেছে মেলার কার্যক্রম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।