নারায়ণগঞ্জ: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মো. সাব্বির (২০) নামের এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এমকেএম শামীম ওসমানকে প্রধান আসামি করে ১৫৬ জনের নামে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২০-৩০ জন নেতাকর্মীকে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলাটির আবেদন করলে আদালতের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করে থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, শামীম ওসমানপুত্র অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতিসহ নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ প্রায় ১০ জেলার ১৫৬ জন।
মামলার কাগজ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুলাই দুপুর ২টায় ছাত্র-জনতা চিটাগাংরোডে আন্দোলনের সময়ে ১ থেকে ১৫৬ নম্বর ও অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, রিভলবার, পিস্তল, কাটা রাইফেল ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এরপর ১ থেকে ১৫ নম্বর আসামির নির্দেশে ও ১৬ থেকে ৬৫ নম্বর আসামির অর্থায়নে ও ৬৬ থেকে ৮০ নম্বর আসামির পরিকল্পনায় আন্দোলনরত মানুষের ওপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে। সেসময় ভুক্তভোগী সাব্বির গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঘটনাস্থলের কয়েকজন মানুষ নারায়ণগঞ্জ খানাপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যান।
ঘটনা নারায়ণগঞ্জে ঘটলেও মামলায় আসামি করতে দেখা গেছে, ঢাকা, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, ঝালকাঠি, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর এবং কুমিল্লার মানুষকে।
নারায়ণগঞ্জের বাইরের মানুষকেও আসামি করার কারণ জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, এই মামলার আবেদন কোর্ট থেকে এসেছে। আমরা কোর্টের নির্দেশে মামলা নিয়েছি। তাই আসামি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। এটা বাদী ভালো বলতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৫
এমআরপি/এএটি