শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে জাজিরা থানা ভবনের নিজ কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ওসির ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওসি আল-আমিন আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আল আমিনের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি জাজিরা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগ দেন তিনি।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওসি আল-আমিন বেশ কিছুদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন সহকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা পুলিশ সুপারসহ (এসপি) অন্যান্যরা। পরে বিকেলে সিআইডির ক্রাইমসিনের একটি এক্সপার্ট টিম এসে তার পরিবার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে তার মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ওসির মরদেহ উদ্ধারের খবরে জাজিরা থানার সামনে উৎসুক জনতা ভিড় করেছেন। তবে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
ওসি আল-আমিনের ভায়রা ভাই অ্যাডভোকেট আব্দুর রব বাবুল বলেন, আল-আমিনের পরিবার থেকে এ মৃত্যু নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। আমরা এসে তার বিছানায় ডিপ্রেশনের কিছু ওষুধ দেখতে পেয়েছি। তার কিছু দেনা-পাওনা ছিল, তবে পারিবারিক তাদের কোনো কলহ ছিল না।
শরীয়তপুর এসপি নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৪
এসআই/এসআরএস