সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় শাহীন (২৬) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ওই যুবলীগ নেতা পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের গোরাট এলাকায় এ গুলির ঘটনা ঘটে।
আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী শাহীন নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার নাউতারা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিল্লুর রহমান মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম আশিক। তিনি ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের সোহরাব হোসেনের ছেলে। তবে আশুলিয়া থানা কিংবা ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কারও বক্তব্য না পাওয়ায় আশিকের পদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আশিক ও তার সহযোগীদের আটক করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা আশিক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী শাহীনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় শাহীনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েন আশিক। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহীনকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান মাস্টার বাংলানিউজকে বলেন, আমি কর্মস্থলে ছিলাম। সেখান থেকে খবর পেয়েছি শাহীনকে গুলি করেছেন আশিক। যতদূর শুনেছি শাহীন একটি ছোট দোকান পরিচালনা করে আসছিল। দোকানে বিক্রির জন্য সিগারেট আনতে যাওয়ার সময় তার কাছে চাঁদা দাবি করেন আশিক ও তার সহযোগীরা। চাঁদা না দেওয়ায় শাহীনকে গুলি করেন আশিক। শাহিন চাঁদার বিষয়টি আগেও আমাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ছোট দোকানদার, তার কাছে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি আমি গুরুত্ব দিইনি।
ঝুট ব্যবসা দখল সংক্রান্ত ঘটনার জেরে গুলি করা হয়েছে এমন ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝুট সংক্রান্ত কোনো ঘটনা নয়। দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় শাহীনকে গুলি করেছেন আশিক।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) নুর আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে ওসি তদন্তসহ একটি টিম পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৫
এসএএইচ