ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা: পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী পহেলা বৈশাখে স্থানীয় নামসহ নদ-নদীর একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ১ হাজর ১০০ এর কিছু বেশি নদ-নদীর খসড়া তালিকা পেয়েছি।

আরও যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) কর্তৃক আয়োজিত এক বিশেষ সম্মেলনে ‘নদ-নদী ও পানির ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা ৬৪ জেলায় খাল, নদ-নদীর সীমানা নির্ধারণ করে দেব যাতে কেউ আগামীতে খাল, নদ-নদী আর দখল করতে না পারে।

অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরও বলেন, যশোরের ভবদহের সমস্যাটা খুবই জটিল হয়ে গেছে, এতটা বছর এটা কোনোভাবেই অ্যাড্রেস করা হয়নি। এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন করছে জলাবদ্ধ এলাকা থেকে পানি সরাতে। ভবদহ এলাকায় স্লুইসগেটের ভেতরে উচ্চতা নিচু আবার স্লুইসগেটের বাইরে নদী ভরাট হয়ে গেছে অর্থাৎ উঁচু হয়ে গেছে। যার ফলে স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হলে পানি বের না হয়ে উল্টো ভেতরে ঢুকে পড়ে।

উপদেষ্টা বলেন, ভবদহ এলাকার সমস্যা সমাধান করতে হলে আমাদের আমডাঙ্গা খাল আরও গভীর ও প্রশস্ত করে খনন করতে হবে। সেখানে পুনর্বাসনের বিষয় আছে। কিছু মানুষকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে। এগুলো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

উপদেষ্টা বলেন, ভবদহের এবারের সমস্যা আমরা আশা করি ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ৮০ শতাংশ জায়গা থেকে পানি অপসারণ করতে সক্ষম হবো। এ ৮০ শতাংশ জায়গায় মানুষ চাষাবাদ করতে পারবে।

সম্মেলনে উপস্থিত একজন বক্তার প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি এপ্রিলে শেষ হবে। দুটি সিজন লাগবে এ বিজিবিলিটি স্টাডি শেষ করতে। একটা হচ্ছে বৃষ্টির সিজন, আরেকটা হচ্ছে শীতের সিজন। বৃষ্টির সিজনের স্টাডি হয়েছে এখন শীতের সিজনের স্টাডি শেষে অর্থের সংস্থান করে আশা করি আমরা এ কাজের উদ্বোধন করতে পারবো। আগের জায়গায় এ রেগুলেটরটি এখন আর নির্মাণ করা যাবে না। রেগুলেটর ভেঙে গেলে অন্য জায়গায় নির্মাণ করতে হয়, নতুন জায়গাও সিলেক্ট করতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীতে মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়াতে ওখানে রাতারাতি চর জেগে উঠে। যার ফলে মানুষের বাড়ি-ঘর ভাঙন হচ্ছিল, নদী ভাঙন হচ্ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে ওখানে ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং করে দেওয়ার ফলে ওই এলাকায় মানুষের বাড়ি-ঘরগুলো নদী ভাঙন হতে রক্ষা পেয়েছে।

নদ-নদী ও পানি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিশেষ সম্মেলনে বাপার সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এম শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর বৈশ্বিক সমন্বকারী এবং বাপার সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।