ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শিবচরে বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উদঘাটন, আসামির স্বীকারোক্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
শিবচরে বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উদঘাটন, আসামির স্বীকারোক্তি

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরে ফজিলাতুন্নেছা (৭০) নামে এক বৃদ্ধার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ক্লু-লেস ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ হাওলাদারকে (২৮) আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ শিবচর উপজেলার বৈকণ্ঠপুর গ্রামের মো. মফিজ হাওলাদারের ছেলে। নিহত ফজিলাতুন্নেছা একই এলাকার মৃত আবদুর রহমান আকনের স্ত্রী।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে নিজবাড়ি থেকে ছেলেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য পাশের ছোট কুতুবপুর বাজারে যান ৭০ বছর বয়সী ফজিলাতুন্নেছা। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন স্বজনরা।

নিখোঁজ হওয়ার ১০দিন পর ২২ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের হোগলার মাঠে পাতা আনতে গেলে একটি বস্তার মুখ রশি বাঁধা অবস্থায় দেখলে সন্দেহ হয়। পরে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।

পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রেখা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা সোহাগ হাওলাদারকে। উদ্ধার করা হয় নিহতের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল। পরে সোহাগকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, 'নগদ টাকার প্রয়োজন হলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকেন সোহাগ। পরে বৃদ্ধার গলায় স্বর্ণের চেইন দেখে লোভ হয় তার। পরে তাৎক্ষণিক শ্বাসরোধ করে হত্যার পরে লাশ বস্তাবন্দি করে রশি দিয়ে বেঁধে বাগানে ফেলে দেন। '

এ ব্যাপারে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।