গত নভেম্বরের শেষে হিজবুল্লার সঙ্গে করা অস্ত্রবিরতি চুক্তির আওতায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমার শেষ দিন ছিল আজ (২৬ জানুয়ারি)।
তবে ইসরায়েল বলছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায় তাদের সৈন্যরা লেবাননের কিছু এলাকায় অবস্থান বজায় রাখবে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে, অস্ত্রবিরতির শর্ত ছিল হিজবুল্লাহকে লেবানন-ইসরায়েল অস্বীকৃত সীমানা রেখা ব্লুলাইন থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত লিতানি নদীর অপর পাড়ে চলে যেতে হবে এবং দক্ষিণ লেবাননে লেবানিজ সেনাবাহিনী মোতায়েন মাধ্যমে চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যেহেতু লেবানন অস্ত্রবিরতি চুক্তিটি এখনো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি, তাই ধাপে ধাপে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে, তবে কতদিন ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননে থাকবে তা স্পষ্ট নয়।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি), লেবানিজ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সীমান্তের এলাকায় সেনা মোতায়েন বাড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। তবে কিছু এলাকায় ইসরায়েলিদের সেনা প্রত্যাহারে বিলম্বের কারণে তাদের সেনা মোতায়েন কর্যক্রমকে জটিল করে তুলেছে।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার রাতে দক্ষিণ লেবাননে আবারো ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে। কফার কিলা ও ময়েস আল-জাবাল শহরে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
লেবানন থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার করার ঠিক একদিন আগে এই হামালার ঘটনা ঘটল। এদিন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননে বেসামরিক নাগরিকদের ওপরও গুলি চালিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং তারা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রাজনৈতিক জটিলতা এবং সামরিক উত্তেজনা উভয়ই দেশের স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৫
এমএম