ঢাকা: ডিএমপি’র ৩১ জন নারী পুলিশ সদস্য অবরোধের দায়িত্ব পালনে বেরিয়েছিলেন সাত-সকালেই। কিন্তু দায়িত্বে যাওয়া হলো না তাদের বাম।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় আরও ২৮ জন আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে। যাদের সকলের বয়সই ২৫ বছরের নিচে।
রোববার (১১ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশলাইন থেকে রওনা হয় ৩১ নারী পুলিশকে বহনকারী বাসটি। ফকিরাপুল মোড় অতিক্রম করার সময় হঠাৎই মাছবাহী একটি ট্রাক নয়াপল্টনের দিক থেকে এসে বাসটির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দু’জন। আহত হন অন্তত ২৮ জন। বাকি একজনের বিষয়ে এখনো কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
এসব তথ্য জানান রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ইমাজেন্সি ইনচার্জ মো. ওয়াইশ কুরোনী।
প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানি মিছির আলী বলেন, সকালবেলা যাইতেছিলাম নয়াপল্টনের দিকে। হঠাৎ করেই একটা টেরাক আইসা বাসটারে ধাক্কা মারল। কিছুই বুঝতে পাইলাম না। দেখি চিল্লাচিল্লি শুরু হইয়া গেছে। আগাইয়া যাইয়া দেহি বাসের হগলেই আহত অইছে। দুইজন তখনই মইরা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ দুই হাসপাতালে মোট ২৮ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি একজনের বিষয়ে এখনো কেউ কিছু বলতে পারেননি। আহতদের সবাই শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। তাদের কারো কোমরে, কারো হাঁটুতে, কারো হাতে, আবার কারো ঘাড়ে গুরুতর জখম রয়েছে।
বাসটি নারী পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আব্দুল গণি রোডের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে (পিসিআর) যাচ্ছিলেন। তাদের স্ট্যান্ডবাই ডিউটি ছিলো।
নিহত আকলিমা খাতুনের বাবার নাম গোলাম মুস্তফা, বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে। আর মুনিয়া আক্তার মামুনির বাবার নাম বুলু মিয়া, তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪