চাঁদপুর: চাঁদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় শহরের জোড়পুকুরপাড় এলাকায় শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
এ সময় তারা ওই এলাকায় ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী ও পথচারী সজিব।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১১টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া চলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানায়, হঠাৎ করে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ জোড়পুকুর পাড় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোতালেবের বাসায় এসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনার পর পর সভাপতির সমর্থকরা এসে ধাওয়া করে। এরপর শুরু হয় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং এলাকার দেকানপাট ভাঙচুর। চলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া।
শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডের হোটেল ব্যবসায়ী মাইনুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ হঠাৎ তার হোটেলে এসে ভাঙচুর করে মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু তছনছ করে চলে যায়। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের একজন কর্মী বাংলানিউজকে জানায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এমিলীকে তারই গ্রুপের এক কর্মী মারধর করে। এ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। ওই ঘটনাসহ পুরনো হিসেব নিকেশ মেটাতে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার আধাঘণ্টা পর চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।
শহরের পালবাজার এলাকার ব্যবসায়ী আলী জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ লাইন থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) শাকিল আহম্মেদের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করলে ছাত্রলীগ কর্মীরা পালিয়ে যায়। এ সময়ে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মামুনুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে। যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৫
এসএইচ