ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলায় জঙ্গিদের ১০ হাজার ডলার ব্যয় হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় আট লাখ টাকা।
গুলশান হামলার আগে দুই ধাপে প্রায় ২৮ লাখ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে জঙ্গিদের হাতে আসে। তবে হুন্ডির মাধ্যমে আসায় এই টাকার যোগানদাতা সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলায় নিম্নমানের পাঁচটি নাইন এমএম বন্দুক, তিনটি একে-২২ রাইফেল, ১১টি গ্রেনেড এবং তাদের পোশাক সবমিলিয়ে যা খরচ হয় তা কোনোভাবেই আট লাখ টাকার বেশি নয়।
তিনি জানান, হামলার আগে ১০ লাখ ও ১৮ লাখ টাকার দু’টি বড় আর্থিক লেনদেন হয়েছে। টাকাগুলো কোনো এক দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে আসে। তবে হুন্ডির মাধ্যমে আসায় টাকাগুলো কোন দেশ থেকে এসেছে বা কে যোগান দিয়েছিল সেটা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। তবে অর্থের যোগানদাতাদের খুঁজে বের করতে কাজ চলছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জঙ্গিদের অর্থের নির্দিষ্ট উৎস থাকলেও বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট কোনো অর্থের উৎস গড়ে ওঠেনি উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, আগের কিছু ঘটনায় রাজনৈতিক দলের কয়েকজনের অর্থায়নের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তবে কোনো রাজনৈতিক দল সরাসরি জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া, সাম্পতিক সময়ে বেশকিছু ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। যারা ডাকাতির মাধ্যমে জঙ্গি অর্থায়ন করতো বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
পিএম/এসআই