সাভার, ঢাকা: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যখন সবাই বিজয়ের উল্লাসে মেতে রয়েছে ঠিক তখন সামিয়া (০৮) বোতল কুঁড়াতে ব্যস্ত।
প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও সে স্মৃতিসৌধ এলাকায় এসেছে খালি বোতল কুঁড়াতে আর সেই বোতলে পানি ভরে তা বিক্রি করতে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই সামিয়া স্মৃতিসৌধ এলাকায় চলে আসে। সেখানে গতদিনের দর্শণার্থীদের ফেলে যাওয়া পানির খালি বোতল সংরক্ষণ করে। পরে বোতলগুলো ধুয়ে টিউবওয়েল থেকে পানি ভরে তা বিক্রি করে। এভাবেই দিন কাটে সামিয়ার।
সামিয়া ওই এলাকার নিরিবিলি এক বস্তিতে থাকে। তার বাবা ইস্কর আলী আজমীর শরীফের মাজারে সুতা বিক্রি করেন। তা দিয়ে হয় না পরিবারের ৭ সদস্যের ভরণপোষণ। সামিয়ার মা সাহেদা বেগম বিভিন্ন স্থানে প্ল্যাটিকের বাটি থালা বিক্রয় করেন। তাতেও হীমসীম খেতে হয় পরিবারের সদস্যদের খরচ চালাতে।
সারাদিন পানি ভর্তি বোতল বিক্রি করে ৪০-৫০ টাকা যা আয় হয় তার থেকে কিছু তার মাকে দেয় বাকীটা দিয়ে সে পড়াশুনার খরচ চালায়।
সামিয়া বলে, সারাদিনই খালি বোতল টোকাই আর পাশের কল থেকা পানি ভইরা বেচি। বিজয় দিবসের আনন্দের কথা জিজ্ঞাসা করতে সে বলে, আরে আমাগো আর বিজয় দিবস, আমি তো সব সময়ই স্মৃতিসৌধে থাকি। আমার জন্য সব দিনই সমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
আরএ