ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশের গর্ব ‘মেড ইন বাংলাদেশ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
বাংলাদেশের গর্ব ‘মেড ইন বাংলাদেশ’

পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে তাদের চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আশুলিয়া (ঢাকা): পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে তাদের চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের আয়োজনে আশুলিয়ার বাইপাইলে এলাহি কমিউনিটি সেন্টার গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে শিল্পাঞ্চলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অপরদিকে একই অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতি করা সহজ, শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করা কঠিন। শেখ হাসিনার সরকারকে যারা উৎখাত করতে চায় তারাই পোশাক শিল্পে অসন্তোষের চেষ্টা করছে। বিদেশে গেলে গর্বে বুকটা ভরে উঠে, যখন দেখি বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে পোশাকের গায়ে লেখা থাকে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গিবাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে অচল করে দেয়া। সেই জায়গা থেকে সবার সহযোগিতা আমরা বেরিয়ে এসেছি। শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা আলোচনা করে সমাধান করা হবে। শ্রমিকদের জন্য সরকার সবসময় কাজ করছে। কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে তাদের চিহ্নিত করা হবে।  

এসময় উপস্থিত শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু বলেন, শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা নেই, এমনকি শ্রমিক নেতারাও জানেন না। ফলে এ অসন্তোষ ষড়যন্ত্রকারীদের এ স্পষ্ট।  

কারখানার নিজস্ব সুযোগ সুবিধা বাইরে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল হতে নতুন বছরের শুরুতে কোনো শ্রমিক মারা গেলে ইন্সুরেন্সের দুই লাখ টাকাসহ ৫ লাখ টাকা দেয়া হবে। কারখানায় কর্মরত অবস্থায় আহত হলে পাবে ২ লাখ টাকা, কঠিন কোনো অসুখ হলে দেয়া হবে এক লাখ টাকা।

এছাড়া মেধাবী সন্তানের পড়ালেখার জন্য বিভিন্ন হারে আর্থিক সুবিধার ঘোষণা দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু।

এসময় শ্রম আইনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে নৌমন্ত্রী আরও বলেন, ধর্মের নামে যেমন জঙ্গি সৃষ্টি করেছে। তেমনি শ্রমিক অসন্তোষ করে কোনো কুচক্রীমহল ফায়দা লুটার চেষ্ঠা করছে। ২০০৬ সালে যেখানে ন্যূনতম মজুরি ১৬৬২ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ৫ হাজার ৩শ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ক্রমান্বয়ে তা আরো বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া পোশাক শিল্পের বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিকরা নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কোনো বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে অসন্তোষ থেকে বিরত থেকে কাজে যোগ দেওয়ার জোরালো আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাফুজুল হক নরুজ্জামান, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এছাড়া বিভিন্ন পোশাক কারখানার সাধারণ শ্রমিকরা ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গত তিন দিন ধরে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০টি পোশাক কারখানায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছে শ্রমিকরা। পোশাক কারখানার এই উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেই এ সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রীরাসহ পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।