ঢাকা: নতুন নামে ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ ফেনসিডিল। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিল চোরাচালান অনেকটা কমেছে।
মাদক জগতে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ওই ফেনসিডিল নতুন নামে ওষুধ হিসেবে চারটি ভার্সনে আসছে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিচালক (অপারেশনসস ও গোয়েন্দা) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ।
২০১৬ সালের নভেম্বরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ বিভিন্ন বাহিনীর জব্দকৃত মাদকের তালিকা নিয়েই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফেনসিডিলের এ নতুন চারটি ভার্সন হলো- আইকন এক্সপি, কোডোকপ, কোডেক্স এবং পারবোকপ। ফেনসিডিলের উপাদান দিয়ে এসব ওষুধ তৈরি।
সম্পতি এ ধরণের ওষুধ জব্দ করে ল্যাবে পরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা দিয়ে ফেনসিডিল আসা অনেকটা কমে গেলেও শুধু নাম বদল করে একই জিনিস আসছে। বোতলের গায়ে ট্যাগ লেবেলটি শুধু পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া ভেতরে থেকে যাচ্ছে আগের ওই ফেনসিডিলি।
এদিকে ইয়ারা বিষয়ে তিনি বলেন, ইয়াবা দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। আগের তুলনায় বর্তমানে ইয়াবা সেবীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে নারী মাদক সেবীদের সংখ্যাও।
তিনি বলেন, মায়ানমার থেকে দেশের বেশির ভাগ ইয়াবা আসছে। তবে মায়ানমারও এই নেশা দ্রব্য বন্ধে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন।
এদিকে ভারত থেকে ইয়াবা আসছে তবে সেগুলো সংখ্যায় কম। ওই অবস্থায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সব সংস্থাই কাজ করছে।
এ বছরের নভেম্বরে মোট ৮ হাজার ১৯৫ জন আসামির বিরুদ্ধে ৬ হাজার ৪০৯টি মামলা দায়ের করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়াও তাদের কাছ থেকে প্রায় ২০ কেজি হেরোইন, তিন হাজার ১৪২ কেজি গাঁজা, প্রায় আড়াই লাখ লিটার দেশি মদ, ১৮ হাজার চারশ’২৫ বোতল ও ৩৮ লিটার বিদেশি মদ, চার হাজার ৪৬৭ ক্যান বিয়ার, ৫০ হাজার ৫শ’ ৬৪ বোতল ফেনসিডিল, ৩০ লাখ ২২ হাজার ইয়াবা ও নয় হাজার ৮শ’ অ্যাম্পুল ইনজেকটিং ড্রাগ জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
এসজেএ/এএটি/বিএস