ঢাকা: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত বলেছেন, দেশের গ্রামাঞ্চলে মাত্র ৪ শতাংশ সম্পত্তির মালিক নারী। সেখানে শহরে এ হার ৬৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নারীর এ সম্পত্তির অধিকাংশই কেনা শাশুড়ির নামে। শাশুড়িদের মধ্যে আবার ৮০ শতাংশই মৃত।
করফাঁকি দিতেই এ কাজটি করা হয় বলেও মনে করেন আবুল বারাকাত।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক-ইন সেন্টারে ‘কমেউনিকেশন ফর ডেভলপমেন্ট: রুরাল ট্রান্সফরমিশন’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় আইএফএডি’র ছয়টি প্রজেক্টের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আইপিএস’র পরিচালক (রোম) ফারহানা হক রহমান, বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিক কচ, অধ্যাপক শামীম রেজা প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন আইপিএস’র দক্ষিণ এশিয়া প্রতিনিধি শহীদুজ্জামান।
আবুল বারাকাত বলেন, সরকারের ভাষ্যমতে, দেশে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ। কিন্তু শুধু আয়ের বেসিসে এ মূল্যায়ন করা সঠিক নয়। খাদ্য, আবাসন, বেকারত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা- এমন ধরনের ১৫টি সূচকের ভিত্তিতেও দারিদ্র্যতা নির্ণয় করতে হবে। তাহলে দেশে দরিদ্র মানুষের হার দাঁড়াবে ৮৩ শতাংশ।
বারাকাত বলেন, ‘আমরা এক অন্যায্য বিশ্বে বসবাস করছি। ২০১৪ সালে বিশ্বের ৫০ শতাংশ সম্পত্তির মালিক ছিলেন ৮০ জন। ২০১৬ সালে তা মাত্র ৬০ জনের হাতে থাকবে’।
তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ খাসজমি প্রভাবশালীদের হাতে। অথচ আইন অনুসারে, তা হতদরিদ্রদের হওয়ার কথা’।
‘বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশই যেহেতু গ্রামে থাকেন, সেহেতু গ্রামের মানুষের উন্নয়নের মাধ্যমেই দারিদ্র্য বিমোচন করা উচিৎ। সেজন্য শুধু প্রজেক্ট নিলেই হবে না, নিতে ৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদী প্রকল্পও’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
কেজেড/এএসআর