রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
লিপুর রুমমেটকে আটকের পর তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিলো।
নগরীর মতিহার থানার পরিদর্শক মো. মাহবুব বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে মামলাটির দায়িত্ব পেয়েছি। তদন্তের জন্য আরও সময় লাগবে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এর ফল দেখতে পাবো। ’
এর আগে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) অশোক চৌহান। অশোক চৌহানের বদলি হয়ে যাওয়ায় এই মামলায় দায়িত্ব পান পরিদর্শক মো. মাহবুব।
২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে লিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন বিকেলে লিপুর চাচা মো. বশীর বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে লিপু হত্যামালায় তার রুমমেট মনিরুলকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। ০৮ নভেম্বর জজ কোর্ট থেকে মনিরুল জামিন পায়।
এদিকে, তদন্তের ধীরগতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লিপুর পরিবার ও সহপাঠীরা।
লিপুর সহপাঠী মেহেদি হাসান রুবেল বলেন, ‘মামলার তদন্ত ঝুলে গেছে। পুলিশ কিছুই বলছে না। এতে আমরা হতাশ হচ্ছি। আমরা অতি দ্রুত তদন্তে অগ্রগতি চাই। ’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার বাংলানিউজকে জানান, ‘পুলিশ আমাদের বারবার আশস্ত করছেন এবং তারা সময় চাচ্ছেন। কিন্তু এই সময় নেওয়াটা বোধহয় বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমরা দ্রুত এই হত্যার তদন্ত ও বিচার চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এজি/পিসি