ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তাজরীন ট্র্যাজেডি: শ্রদ্ধাভরে নিহতদের স্মরণ

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
তাজরীন ট্র্যাজেডি: শ্রদ্ধাভরে নিহতদের স্মরণ

সাভার (ঢাকা): পোশাক খাতে অন্যতম কালো দিন তাজরীন ট্র্যাজেডি। এক যুগ আগে আজকের এ দিনে তাজরীন ফ্যাশনের আগুনে পুড়ে মারা যায় ১১৭ তাজা প্রাণ।

আজ তাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করতে দুঃসহ স্মৃতির স্তম্ভ তাজরীন ফ্যাশনের সামনে সমবেত হয়েছেন নিহতের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই শ্রদ্ধা জানাতে পুড়ে যাওয়া কারখানাটির সামনে দলে দলে আসছেন তারা।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে তাজরীনের সামনে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া শ্রমিকদের স্মরণ ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন নানা শ্রেণির মানুষ। এ সময় বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা তাজরীনের সামনে সমবেত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

নিহতের স্বজনরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, এ তাজরীন ফ্যাশনে ১১৭ জন পুড়ে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে অনেকের স্বজন হারানো স্মৃতির মাঝে আপনজনের স্পর্শ পেতে দূর-দূরান্ত থেকে তাজরীনের সামনে এসেছেন। তারা সবাই খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে ১১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের বিচার না হলে এ কলঙ্ক দূর হবে না।

আহত শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কেউ খোঁজ নেয় না। আমরা মরার মতো বেঁচে আছি। আমাদের কেউ ক্ষতি পূরণ কিংবা পুনর্বাসনের কথা ভাবে না। তাজরীন ট্র্যাজেডির দিন আসলে সাংবাদিককরা খোঁজ নিতে আসেন। তবে এবার শ্রম উপদেষ্টা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি দ্রুত আমাদের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। তার পরেও আমরা দ্রুত পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাই।

শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডির এক যুগ অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু খুনিদের এখন পর্যন্ত শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। নিহতের স্বজনরা ন্যায্য ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আহতদের এখন পর্যন্ত পুনর্বাসন করা হয়নি। আহতরা কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের সন্তানরা শিক্ষা থেকে ছিটকে যাচ্ছে। তাদের পরিবার পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। তাদের দেখার কেউ নেই। তারা সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত। তাজরীনের ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মানের দাবি জানান তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঔক্য ফেডারেশন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।