ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কেবল নিউজ নেটওয়ার্ক-সিএনএন’র প্রযোজক বাংলাদেশি আমেরিকান সাবরিনা খান দুই দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন।
এক সময়ের ঢাকার মেয়ে এই সাবরিনা মোটে ছাব্বিশ বছরে আরও বড় ক্যারিয়ারের পথে হাঁটছেন।
২০১৭’র জানুয়ারিতে সাবরিনা খান যোগ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক থিংক ট্যাংক দ্য কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স এর যোগাযোগ টিমে।
বড় হয়েছেন নিউইয়র্কে। সেখানে বারুক কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় আন্ডার গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করে প্রথমে সিএনএন আমেরিকা ও পরে সিএনএন ইন্টারন্যাশনালের হয়ে নিউইয়র্ক ও লন্ডনে কাজ করেন সাবরিনা খান।
২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এসব দায়িত্ব পালন করেন। লন্ডনে থাকাকালীন লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিকস থেকে মেরিটসহ মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তার বাবা শহিদুল মোসলেমিন খান ও মা তাহমিনা পারভিন বানু।
মাস্টার্সে সাবরিনা খানের গবেষণার বিষয় ছিলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডের ওপর।
সাবরিনা খান বলেন, মার্স্টার্স থিসিস লেখার সময়টিতেই আমি বাংলাদেশি ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হই। তবে এখনো শেখার অনেক কিছুই বাকি রয়েছে।
দেশে পরিবারের যারা রয়েছেন তাদের মাধ্যমে শেকড়ের সঙ্গে আমার সংযোগ অটুট থাকায় আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি, বলেন তিনি।
সাবরিনা বলেন, আজ আমি আমেরিকান নাগরিক হতে পারি, কিন্তু আমি আমার জন্মভূমিকে সবসময়ই মনে রাখি।
পরিবারের সদস্যরা তার এই সাফল্যে গর্বিত, আর সেটা ভেবে ভাল লাগে বলেই জানালেন সাবরিনা। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক বছর পর বাংলাদেশ সফর করে আমি বুঝতে পারছি ছোট্ট একটি দেশ থেকে কেউ সিএনএন’র মতো বিশ্বখ্যাত একটি নেটওয়ার্কে কাজ করলে তা বিশেষ কিছু বলেই বিবেচিত হয়। আর একা একটি মেয়ে বিশ্ব ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরিবারের সমর্থন ও সহযোগিতা, দোয়া ও সদিচ্ছা ছাড়া আমি এই সাফল্য অর্জন করতে পারতাম না।
তরুণদের যারা বিদেশে টেলিভিশন সাংবাদিকতায় আগ্রহী তাদের জন্য সাবরিনা খানের উপদেশ, তারা যেনো নানা মাধ্যম থেকে শেখেন, কয়েকটি ভাষা শিখে নেন (বিশেষ করে ফরাসি ও আরবী) আর বিদেশে বৃত্তি কিংবা ইন্টার্নশিপের অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যান।
কাজটা সহজ নয়, তবে লেগে থাকাই একমাত্র পথ, বলেন সাবরিনা।
বাংলাদেশ সময় ১১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এমএমকে