বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২০ মিনিট মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মুসল্লিদের আমিন আমিন ধ্বনিতে এ সময় মুখরিত হয় ইজতেমা ময়দান সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়ক সংলগ্ন লতিপুর-খিদিরপুর এলাকা।
৩২ বছর পর সিলেটের মাঠে আয়োজিত তাবলীগ জামাতের সর্ববৃহৎ এ আয়োজনের মোনাজাতে দেশ বিদেশের ১০ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান শরীক হন।
মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই শীত উপেক্ষা করে লাখ লাখ মুসল্লি হেঁটে, বিভিন্ন যানবাহনে ইজতেমায় যোগ দেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় ইজতেমা অঙ্গন ও আশ-পাশ এলাকা। লোকে লোকারণ্য হওয়ায় যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে পড়ে। পুরুষদের পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও মোনাজাতে অংশ নেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। ইজতেমায় তাওহীদ, রিসালাত, দাওয়াত, সালাত, জিকিরসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুছা বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তায় র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। শেষ দিন পর্যন্ত সাদা পোশাকে চার স্তরের নিরাপত্তা ছিলো। এছাড়া বিদেশি অতিথিদের পুলিশি পাহারায় ইজতেমা অঙ্গন থেকে বিদায় দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এনইউ/এএটি/আরআই