ডিএনসিসি মার্কেটের অধিকাংশ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও পাশের গুলশান শপিং সেন্টার পর্যন্ত আগুন ছড়ায়নি। তবে ডিএনসিসি মার্কেটের পূর্বাংশে লাগোয়া গুলশান শপিং সেন্টারের কয়েকটি দোকান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
আগুন যেকোনো মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে এ আশংকায় গুলশান শপিং সেন্টারের প্রায় সব দোকানের মালামাল রাস্তায় নামিয়ে রাখা হয়েছে। উন্মুক্ত জায়গায় রাখা এসব দামি মালামাল খোয়া যাওয়া নিয়েও চিন্তিত দোকান মালিকরা। তবে পুলিশের সার্বক্ষণিক অবস্থানে কিছুটা স্বস্তিবোধ করছেন তারা।
সকাল ৮টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে গুলশান শপিং সেন্টারের বিভিন্ন তলা থেকে মালামালের কার্টন ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের ওপর রাখা হচ্ছে। আর ভারি ও ভঙ্গুর মালামালের কার্টনগুলো সাবধানে সিঁড়ি বেয়ে নামিয়ে আনা হচ্ছে।
কিন্তু ফার্নিচার দোকান অধ্যুষিত গুলশান শপিং সেন্টারের বেশিরভাগ মালামালই গুলশান-১ গোলচত্বর ও আশপাশের সড়কে যত্রতত্র রাখা হয়েছে। দামি চেয়ার, টেবিল, খাট, ড্রেসিং টেবিল, সোফা, আলমারি, ডাইনিং টেবিল, ডিনার অগান, দরজা-জানালার পর্দা, ফোম, ম্যাট্রেসসহ গৃহ সজ্জার সরঞ্জাম রাস্তার মাঝে জড়ো করা হয়েছে।
এছাড়া শিশুখাদ্য, টিস্যু, কসমেটিক্স, ঝারবাতি, এসি, পোশাক, শো-পিস, ফিটিংস, পারফিউম, বিদেশি চকলেট, তেলের কন্টেনার, জার, টেলিভিশন, মোবাইলের কার্টনসহ হাতে বহন করার মতো মূল্যবান মালামাল সড়কের আইল্যান্ডের ওপর অবিন্যাস্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে।
মালামালের নিরাপত্তায় আরো পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের দাবি জানিয়ে এবি এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী রাশেদ কবির বাংলানিউজকে বলেন, ডিএনসিসি মার্কেটে আমার এবি এন্টারপ্রাইজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গুলশান শপিং সেন্টারের গোডাউনে রাখা মালামাল বের করে রাস্তায় জড়ো করেছি। এখন এই দামি মালামালের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কিত। আরো বেশি পুলিশ এখানে মোতায়ন করা দরকার।
ফার্নিচার দোকানি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, আমার দোকান গুলশান শপিং সেন্টারে। শুনলাম এটাও ঝুঁকির মধ্যে আছে। তাই মালামাল নামিয়ে নিয়ে আসছি। কিন্তু এগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে এখন আমি চিন্তিত।
এদিকে রাস্তায় মালপত্র স্তুপ করে রাখায় গুলশান-১ গোলচত্বর থেকে হাতিরঝিল-তেজগাঁও অভিমুখী সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দোকানদারদের মালামালের নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান করছেন।
পুলিশ সদস্য বিপুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান-ই আমাদের কাজ। আমরা যতক্ষণ এখানে আছি, কারো কোনো ক্ষতি হবে না। তবে এ ব্যাপারে সর্ব সাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এজেড/জেডএস