মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে সেতুর সবশেষ অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে এসব তথ্য জানান রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি। আশুগঞ্জ-ভৈরব সীমানায় মেঘনা নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু।
মন্ত্রী ভৈরব পৌঁছে হেঁটে নবনির্মিত সেতুর গোড়ায় গিয়ে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এরপর নিচে নেমে আবার মেঘনা নদীতে ইঞ্জিন নৌকায় চড়ে ব্রিজের নিচে গিয়ে নির্মাণযজ্ঞ দেখেন তিনি।
মন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন, রেলওয়ে মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রেলের পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপক ও সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরও জানান, নির্মাণাধীন দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুর অবশিষ্ট কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। এ রেলসেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ভ্রমণ ও পণ্য পরিবহন সহজ হবে। যাতায়াতের সময় কমে আসবে।
সেতু নির্মাণ হলে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় পর্যটন অঞ্চল তেল-গ্যাস খনিজ সমৃদ্ধ সিলেটের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সহজতর হবে। দুই সেতু দিয়ে ডাবল লাইনে চলাচল করতে পারবে রেল। দ্বিতীয় ভৈরব সেতু হচ্ছে ব্রডগেজ লাইনের।
প্রকল্প পরিচালক আবদুল হাই সেখানে বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার এ প্রকল্পের কাজ আগামী মার্চে শেষ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু ও তিতাস রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষে হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরোপুরি ডাবল/ডুয়েল লাইন হবে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে যাত্রীরা যেমন অল্প সময়ে আরামদায়ক ভ্রমণ সুবিধা পাবেন, তেমনি পণ্য পরিবহন সহজ হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফকন-এফকন্স যৌথভাবে রেলসেতু নির্মাণে কাজ করছে।
মেঘনা নদী ও সড়কপথে ভৈরবে ঘুরে দেখা গেছে, দ্বিতীয় ভৈরব সেতুর ৯টি স্প্যানের মধ্যে ৮টি বসানো হয়েছে। বাকি একটি স্প্যান বসিয়ে জোড়া লাগানোর কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এসএ/এমজেএফ