সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলী। সভাপতিত্ব করেন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
বক্তারা বলেন, জীববৈচিত্র্য ও বনপ্রাণী সংরক্ষণে বন বিভাগ কাজ করছে। পাচার রোধে কাজ করছে বাংলাদেশ কাস্টমস।
সভায় বক্তারা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ আইনের ৩১ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরসহ দেশের যেকোন স্থানে নজরদারি বৃদ্ধি করতে শুল্ক গোয়েন্দাকে অনুরোধ করেন বক্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বন সংরক্ষক বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশ কাস্টমস বিশেষ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের নেওয়া ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ ধারা সমুন্নত রাখতে ভবিষ্যতে বন বিভাগ ও কাস্টমস সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। বন্যপ্রাণী পাচার রোধে তিনি শুল্ক গোয়েন্দার ‘ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক’ ব্যবহারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
শুল্ক গোয়েন্দার সাম্প্রতিক সাফল্যের ধারা বন্যপ্রাণী পাচার রোধে অব্যাহত ও বন্দরগুলোতে পণ্য স্ক্যানিং করার সময় বন্যপ্রাণী পাচারের আলামত আরও সর্তকভাবে পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানান প্রধান বন সংরক্ষক।
বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বনবিভাগের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক গোয়েন্দা ও ঢাকা কাস্টমস হাউজ কচ্ছপ, কাঁকড়া ও প্রজাপতি রপ্তানির আড়ালে পাচারের সময় আটক করা হয় বলেও জানান তিনি।
ড. মইনুল খান বলেন, বন্যপ্রাণী আইনটি বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মপরিকল্পনার ক্ষেত্রে দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর সহযোগী আইন হিসেবে প্রচলিত হয়ে আসছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়ে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আরও বেশি দৃষ্টি রাখবে কর্মকর্তারা।
সভায় ভবিষ্যতে বন অধিদফতরের ‘বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট’ ও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর আরও নিবিড়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উভয় দফতরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এ কমিটি দেশের শুল্ক বন্দরসমূহে বন্যপ্রাণী পাচার রোধে একসাথে কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
আরইউ/এমজেএফ