অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসানা পারভীন রিয়া ভর্তি ফরম নিয়ে অফিসে গেলে তাকে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়।
পরে শিক্ষার্থী আফসানা পারভীন রিয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাইয়ের কাছে গেলে অধ্যক্ষ তাকে ভর্তি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সবার সামনে তার ভর্তি ফরম ছিঁড়ে ফেলেন এবং তাকে গালমন্দ করেন।
এসময় রিয়া কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে তার বাবা অহিদুল হককে জানালে অহিদুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে ভর্তি না করে ফরম ছিঁড়ে ফেলার কারণ জানতে চান। এতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়ার বাবাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তার মেয়েকে ভর্তি করানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। অসহায় বাবা উপায় না পেয়ে ৩ জানুয়ারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীর বাবা অহিদুল হক বলেন, মেয়েকে ভর্তি করাতে না পেরে খুবই চিন্তায় আছি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাই লোহানিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ভর্তি ফরম ছিঁড়ে ফেলার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর বাবা একজন বেয়াদব লোক, এ কারণে তার মেয়েকে এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হবে না’।
বদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইচ্ছে করলেই শিক্ষার্থীর ভর্তি আটকাতে পারবেন না’।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজি আবেদা গুলশান জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর অভিযোগটি করা হয়েছে। আমি অনুলিপি পেয়েছি। নির্দেশনা আসা মাত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
আরএ