তবে বাড়ানো হয়েছে মূল প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই)।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশসহ মুসলিম দেশগুলো থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এতে অংশ নেন। তাদের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশের নানা সুরক্ষায় ‘টঙ্গী শহরে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সরকার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) জানিয়েছে, বিশ্ব ইজতেমা মাঠের কাজের ১০ শতাংশ বাস্তবায়ন বাকি আছে। ২১টি টেস্ট টিউবওয়েলের মধ্যে ১৮টি ও ৭টি প্রডাকশন টিউবওয়েলের ৫টি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে ২১টি পাম্প হাউজের মধ্যে ১৮টি, ৭টি বিদ্যুতায়নসহ পাম্প হাউজের মধ্যে ৫টি এবং ৪৫টি ইলেকট্রিক সাব-স্টেশনের মধ্যে ১৭টির কাজ বাকি রয়েছে।
তিন তলাবিশিষ্ট ২০টি পাবলিক টয়লেটের ৯টি, ৯৫ কিলোমিটার পাইপ লাইনের ৪৯ কিলোমিটার, ১০০টি ওয়াটার পয়েন্টের মধ্যে ৯৮টি নির্মিত হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির অন্যতম মুরুব্বি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাঠের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ কাজ ইজতেমার আগেই সম্পন্ন হবে। সব কাজ সময়মতো শেষ করবো’।
২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে ‘টঙ্গী শহরে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৯৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সর্বশেষ প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১০২ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং মেয়াদ বেড়ে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এমআইএস/জেডএস/এএসআর