নব্য জেএমবি’র সামরিক কমান্ডার মারজানের মরদেহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাড়িতে পৌঁছে দিলে তারা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা-মা। তবে ঢাকায় গিয়ে আনার সামর্থ্য নেই জানিয়ে তারা বলেন, ‘সরকার যদি বাড়িতে পৌঁছে দেয়, তবে দাফনের জন্য মরদেহ গ্রহণ করবো আমরা’।
শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারজান মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এলাকাবাসী ও তার স্বজনরা ভিড় করেন মারজানের পাবনার বাড়িতে। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়লেও মারজানের শাস্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তার বাবা-মা। ছেলের কৃতকর্মের দায় না নিলেও মারজানকে যারা বিপথে নিয়ে গেছে, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তারা।
মারজানের বাবা নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার ছেলে অন্যায় করেছে। তার কৃতকর্মের ফল সে ভোগ করেছে। কিন্তু আমার মেধাবী এ সন্তানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। তাকে যারা জঙ্গি বানিয়েছে, সরকার যেন তাদের শাস্তির ব্যবস্থা নেয়’।
মারজানের মা সালমা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমি তার শাস্তিতে খুশি। কিন্তু তার স্ত্রী ও একমাস বয়সী শিশু সন্তানকে যেন সরকার আমাদের কাছে ফেরত দেয়’।
পাবনা সদর উপজেলার আফুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মারজান গত বছরের জানুয়ারি মাসে সর্বশেষ বাড়িতে আসেন। ওই সময় স্ত্রী প্রিয়তিকে নিয়ে যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি তিনি। গুলশান হামলার পর গণমাধ্যমে মারজানের জঙ্গি পরিচয় জানতে পারেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র মারজান গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে পাবনা শহরের বাঁশবাজারের আহলে হাদিস কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পরে পাবনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাসের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় নব্য জেএমবিতে যোগ দেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
আরবি/ওএইচ/এএসআর