এরমধ্যেও থাকেন কেউ কেউ। খুঁজে বের করেন জলাশয়, মেতে যান মাছ শিকারের নেশায়।
এদের একজন মিঠু মিয়া। সপরিবারে এসেছেন এখানে মাছ ধরতে। জলাশয়ের কর্তৃপক্ষ গণপূর্ত অধিদফতর থেকে প্রতিদিন মাছ শিকারের জন্য তিন হাজার টাকা দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করেন মিঠু। নিয়ম মেনে ৩টি বড়শির ছিপ ফেলে মাছের অপেক্ষা করছেন তিনি।
মিঠু বাংলানিউজকে বলেন, মাছ শিকার করা আমার পেশা নয়, শৈশব থেকেই মাছ শিকারের প্রতি একপ্রকার নেশা অনুভব করি। যে নেশা প্রতিমূহুর্তে আমাকে বিমোহিত করে। এবার টানা ১৬ দিন মাছ ধরছি এখানে।
কত কেজি মাছ হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬ দিনে প্রায় ১২০ কেজির বেশি মাছ এসেছে। যদিও এ মাছ টিকিটের অর্থের সমমূল্যের নয়, তবু মাছ শিকার করতে আনন্দ লেগেছে। তাইতো প্রতিদিন সপরিবারে আসি মাছ ধরতে।
মিঠুর পাশে দেখা গেল মাছ শিকারের জন্য রাখা পিঁপড়ার ডিম, ছাতু, ঘি, মধু, মিষ্টি আচারসহ অনেক উপাদান।
তার সহধর্মীনী হেনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, মাছ ধরার মধ্যে তিনি অনেক আনন্দ পান। পেশায় ব্যবসায়ী মিঠু সময় পেলে ঢাকার বাইরেও মাছ ধরতে যান। এতে স্ত্রী হিসেবে হেনা কখনো বাঁধ সাধেন না। শুধু মিঠু নন, নিজেও মাছ ধরতে পছন্দ করেন বলে জানান হেনা।
মনোযোগ দিয়ে ছিপ পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেলো ব্যবসায়ী মো. জামাল হায়দার। বয়সে বৃদ্ধ হলেও মাছ ধরায় ‘বুড়ো’ নন, বরং অভিজ্ঞ জামাল।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের বিভিন্ন শখ বা ইচ্ছে থাকে। আমার ইচ্ছে মাছ ধরা। কেবল তাই নয়, জীবনের অর্ধেকটা সময় ব্যবসায়িক কাজে অতিবাহিত করলেও এখন চান নিজের কিছু ইচ্ছে পূরণ করতে। তাইতো মাঝে মাঝে সময় পেলেই দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যান মাছ ধরতে কিংবা ঘুরতে।
রমনার এ জলাশয় থেকে প্রতিদিন ৮-১০ কেজি করে মাছ শিকার করেন বলেও জানান জামাল।
এ মৌসুমে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত রমনার এ জলাশয়ে মাছ শিকার করার জন্য প্রতিদিন তিন হাজার টাকা করে টিকিট বিক্রি করছে গণপূর্ত অধিদফতর। মাছ শিকারের সময় প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এসজে/আরআইএস/এইচএ/