শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ট্রাকস্ট্যান্ড ও ছোটখাট দোকানপাট চূড়ান্তভাবে উচ্ছেদের পর সড়কটি এখন ঝকঝকে, যানজটহীন। সড়কের পাশে দাঁড়ানো নেই চিরাচরিত সেই ট্রাক।
দীর্ঘদিন দখলে থাকা সড়কটি এখন নগরবাসীকে এনে দিয়েছে স্বস্তি। কম সময়ে যাতায়াতের জন্য অনেকেই সড়কটি ব্যবহার করছেন।
এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করেন রাজধানীর মধুবাগের বাসিন্দা ফজলুল হক। তিনি বলেন, সড়কটি এখন সব সময় ফাঁকা থাকে। আগের মতো ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে না। কম সময়ে এ পথে যাতায়াত করা যায়।
তবে ট্রেন চলাচলের সময় মাঝে-মধ্যে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয় বলে জানান ফজলুল হক।
অবৈধ দখল ও যানজটমুক্ত রাখতে সড়কটিতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ সবসময় কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগ।
ট্রাফিক পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু ইউসুফ বাংলানিউজকে বলেন, তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে রেললাইন পর্যন্ত সড়কটি মুক্ত রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানে ট্রাক দাঁড়ালেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে রেকার লাগানো হচ্ছে। এ সড়কে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি সবসময় একজন ট্রাফিক সার্জেন্টের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
কয়েক দফা চেষ্টার পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের নেতৃত্বে গত ২৭ নভেম্বর সড়কটি চূড়ান্তভাবে দখলমুক্ত করা হয়। আগে সেখানে ইঁদুর-বেড়াল খেলা চলেছে দীর্ঘদিন।
সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক সড়কটি দখলমুক্ত করে যেত। কিছুক্ষণের মধ্যে তা আবারো দখলে চলে যেত অবৈধ ট্রাক পার্কিংয়ে।
শনিবার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়কটি পুরোপুরি দখলমুক্ত থাকলেও সাতরাস্তা থেকে রেললাইন যাওয়ার অন্য সড়কটিতে বিপুল সংখ্যক ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। ট্রাকস্ট্যান্ডের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এখানে ট্রাক রাখছেন বলে জানান ড্রাইভার মোস্তাফিজ। তিনি বলেন, মূল সড়কে যানজট না থাকায় বাইপাস সড়কটি খুব একটা ব্যবহার করা হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমইউএম/আরআর/এএ