শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার রাখাইন মার্কেট মাঠে ১২ সদস্য নিয়ে দস্যু নোয়া বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান বাংলানিউজকে জানান, আত্মসমপর্ণ করা ৬০ দস্যুর প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২০ হাজার করে টাকা ও দু’টি করে কম্পল দেওয়া হয়েছে।
তবে এর মধ্যে কারাগারের বাইরে থাকায় ৩৩ দস্যু নিজেরা হাজির হয়ে এবং কারাগারের ভেতরে থাকায় ২৭ দস্যুর পরিবারের সদস্যদের কাছে এ টাকা ও শীতবস্ত্র দেওয়া হয়।
র্যাব-৮ এর বরিশাল অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামানের সাভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক এ কে এম শামিমুল হক সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার মোশফিকুর রহমান প্রমুখ।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন দস্যু নোয়া বাহিনীর প্রধান নোয়া মিয়াসহ ১২ সদস্য, যারা শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন।
এ নিয়ে ১০ মাসে মোট আট বাহিনীর ৭২ জন দস্যু ১৬৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও আট হাজার ৬৩৬ রাউন্ড গোলাবারুদ নিয়ে র্যাব-৮ এর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
এদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ নেই তাদের আইনি ও সামাজিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমএস/আরবি/এসআই