ঢাকা: দেশে এই মুহূর্তে কোনো ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ নেই বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের ১৯টি ফ্যাক্টরি নিয়ে সমস্যা ছিল।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ওই ধরনের কোনো অসন্তোষ নেই। কিন্তু নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। আমাদের ১৯টি ফ্যাক্টরি নিয়ে সমস্যা ছিল। তার মধ্যে ৫-৬টি আমরা এড্রেস করেছি। বাকিগুলো নেগোসিয়েশন চলছে। আমরা আশা করছি অসন্তোষ দূর হবে।
তিনি বলেন, বার্ডস নামের যে কোম্পানি তারা তিন দিন আশুলিয়ায় রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিল। এটা এড্রেস করা হয়েছে। ডার্ট নামের একটি কোম্পানি তারা ৩ বছর ধরে বেতন পাচ্ছিল না, সেটা আমরা এড্রেস করেছি। টিএনজেড গার্মেন্টস রিসেন্টলি ময়মনসিংহের রাস্তা বন্ধ করেছে, ওটা আমরা এড্রেস করেছি। অলরেডি এখানে কোনো অসন্তোষ নেই।
তিনি আরো বলেন, জেনারেশন নেক্সট যেটা চন্দ্রাতে আছ, সেটা আমরা এড্রেস করেছি। মালিক পক্ষ এখন তাদের বেতন দিচ্ছে। বেক্সিমকো আমরা এড্রেস করেছি। এখন দুই একটা জায়গা আছে, যেমন- নারায়ণগঞ্জের ক্রোনি গার্মেন্টস, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
শ্রম সচিব বলেন, এই টিম এসেছে বাংলাদেশে শ্রমিকদের কী পরিস্থিতি সেটা জানতে। আইএলও এর কিছু রোডম্যাপ রয়েছে। এর বাইরে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১১ পয়েন্টের একটি ইস্যু রয়েছে। ১১টি পয়েন্ট তারা আমাদেরকে দিয়েছিল। এসব বিষয়ে আমরা খুব খোলামেলা কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে টিম এসেছে সেখানে ইউএস এম্বাসিসহ বেশকিছু বায়াররা এসেছে। ১১ দফার বাইরেও বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. ইউনূস ইউএন এসেম্বেলিতে গিয়েছিলেন। সেখানে এইএলও এর মহাপরিচালকের সাথে তার একটি মিটিং হয়েছিলো। এছাড়াও আমেরিকার অনেক ব্রান্ড বায়ার সেখানে তার সাথে মিটিং করেছিলেন। সেই মিটিংয়ে বাংলাদেশের শ্রম আইন, লেবার রাইটসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা একটু প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসছিলেন। গতকাল বিকালেও লেবার ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা যমুনাতে আমাদের সঙ্গে লম্বা সময় বৈঠক করেছেন। সেখানেও এই সমস্ত বিষয় উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫,২০২৪
জিসিজি/এমএম