মিজানুর রহমান বলেন, আপনারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করবেন। ভিক্ষা না করে কর্মজীবনে ফিরে এলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ভিক্ষুকদের এ ধরনের সহযোগিতা একটি অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের এ উদ্যোগ অব্যহত থাকবে, বিশ্বকে আমরা দেখাতে চাই বাংলাদেশ ভিক্ষুকের জাতি নয়, যোগ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার (এসপি) নিজামুল হক মোল্লা, খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সাইফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব ও ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মো. সালেহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।
অনুষ্ঠানে ১২০ জনকে চায়ের দোকান নির্মাণ করার উপকরণ, পায়ে ঠেলা ভ্যান ও সেলাই মেশিন অনুদান দেয় খুলনা সমাজ সেবা অধিদফতর। এদিন ৩৬৯ কর্মক্ষম ভিক্ষুকদের রেশনিংয়ের আওতায় আনা এবং তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অন্যদিকে ১২৬ জন ভিক্ষুককে পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করার উপকরণ, মুদি দোকান-সবজির দোকান নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হয়।
ঝাল মুড়ি, চানাচুর, ডিম, পিঠা, টক দই, ঠোঙা এবং হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি, হাঁস-মুরগি পালন করে যেনো তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে সেজন্য তাদের অনুদান দেওয়া হয়। আরও দেওয়া হয় ওজন মাপা মেশিন, আগরবাতি তৈরির মালামালসহ মোট ১৪ ধরনের উপকরণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৬
এমআরএম/আরআইএস/এটি