ফলে নগরীর আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি হোসেন আলী পার পেয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরের স্বজনেরা।
মিছিলে না যাওয়াকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ০৭ সেপ্টেম্বর অপহরণ করা হয় নগরীর কৃষ্টপুর আদর্শ কলোনির বাসিন্দা জাহাঙ্গীরকে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাহাঙ্গীরের দাদি জোসনা বেগম জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি হোসেন আলীর দুই ছেলে রিপন ও আর এম রাসেলকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে রিপন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে এ মামলার অন্যতম আসামি আলমগীর (২০) ও আরএম রাসেল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। রিমান্ডেও নেয়া হয় তাদের।
এ হত্যা মামলায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হন আরো ৩ আসামি। পরবর্তীতে তারা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
কিন্তু হুকুমের আসামি হিসেবে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি হোসেন আলীকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত জাহাঙ্গীরের স্বজন ও আদর্শ কলোনির বাসিন্দারা।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বাদী জোসনা বেগম অভিযোগ করেন, মামলার এজাহারে হোসেন আলীকে এক নম্বর আসামি করার দাবি ছিল আমাদের। কিন্তু জাতীয় পার্টির নেতা হওয়ায় পুলিশ তাকে আসামি করতে দেয়নি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বার বার বলেছেন, হোসেন আলীকে গ্রেফতার করার পর আসামি করা হবে। কিন্তু হোসেন আলীকে পুলিশ রহস্যজনক কারণে এতদিনেও গ্রেফতার করেনি। এখন চার্জশিটেও তার নাম দেওয়া হচ্ছে না। অথচ হোসেন আলীর ছেলেরা জামিনে বেরিয়ে এসে উল্টো আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকন ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, বাদীর অভিযোগ সঠিক নয়। মামলার এজাহার থেকে শুরু করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে কোথাও হোসেন আলীর নাম নেই। সাক্ষ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই আগামী সপ্তাহেই আদালতে এ হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এমএএএম/এমজেএফ