বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
এ প্রকল্পে নোয়াখালী খাল এবং জেলার ২৩টি খালের পুনঃখননসহ ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়াও প্রকল্পের মধ্যে আরও রয়েছে ১৮২ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন, বামনি নদীতে ড্রেজিংসহ দু’টি স্লুইস গেইট নির্মাণ, লবণাক্ত পানি প্রবেশ রোধে বামনি ১৯-ভেল্ট রেগুলেটর নির্মাণ, বামনি নদীর উপর ক্লোজার নির্মাণ, সন্দ্বীপ চ্যানেল, মুছাপুর, গুচ্ছ গ্রাম, চর কচ্চপিয়া, চর ল্যাংটা ও চর এলাহী এলাকার ১০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ।
২০২১ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জেলার প্রধান প্রধান খাল সমূহে নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সন্দ্বীপ চ্যানেলের বামতীর ভাঙন রোধ থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকার বাড়ি-ঘর, স্কুল, মসজিদ, সাইক্লোন শেল্টার, আবাদি জমি, ফসলাদি ও জানমাল রক্ষা পাবে।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প উদ্বোধন শেষ হওয়ার পরপরই কবিরহাট উপজেলার ধান শালিক এলাকা থেকে এ প্রকল্পের খাল পুনঃখনন কাজ শুরু করা হবে।
২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী একনেক এর সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন করেন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করবে।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের প্রধান জেনারেল সিদ্দিকুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
আরআইএস/